চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প পরিচালকের ওপর হামলাকারী ৪ ঠিকাদার গ্রেপ্তার

৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালককে মারধর ও কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় চার ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন, সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, সুভাষ দে, মো. ফিরোজ ও মাহমুদুল্লাহ।

প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনায় রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ জনকে আসামি করা হয়।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এর আগে রোববার বিকেলে টাইগারপাসে সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী ভবনের চতুর্থ তলায় নিজ কার্যালয়ে হামলার শিকার হন প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানী। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। অবকাঠামো উন্নয়নে চসিকের ২ হাজার ৩৯২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সরকার অনুমোদন দেওয়ার পর ইয়াজদানীকে এই প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) করে সিটি কর্পোরেশনে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়।

৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

এদিকে গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর সোহাগ ও আইন কর্মকর্তা মনীষা মহাজন।

এ বিষয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠনের চিঠি হাতে পেয়েছি। সাত কর্মদিবসের মধ্যে মেয়র বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

প্রকল্পের আওতায় গত ডিসেম্বরে ২২০ কোটি টাকার ৩৭টি উন্নয়ন কাজ তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ভাগ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে ঢুকে ভাংচুরের পাশাপাশি তাকে বেধড়ক পেটান একদল ঠিকাদার। নাজিম, সুভাষ, শাহাব উদ্দিন, সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, হাবিব ও মোহাম্মদ ফেরদৌসের নেতৃত্বে অন্তত ১০ থেকে ১২ জন ঠিকাদার হামলা চালান বলে অভিযোগ করেছিলেন ইয়াজদানী।

আরএম/জেজে/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!