চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পিডির ওপর হামলায় গ্রেপ্তার এক ঠিকাদার রিমান্ডে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) গোলাম ইয়াজদানী ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার এক ঠিকাদারকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

ওই ঠিকাদারের নাম মো. সাহাবুদ্দিন। গত সোমবার নগরীর খুলশী এলাকা থেকে সাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া সাহাবুদ্দিন বিএনপির সমর্থক। তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক সঞ্জয় ভৌমিক ও আওয়ামী লীগের সমর্থক ফেরদৌস, সুভাষ ও হাবিব।

মূলত প্রকল্পে নিজেদের প্রতিষ্ঠান কাজ না পাওয়ায় ক্ষোভে হামলা চালানো হয় প্রকল্প পরিচালকের ওপর।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান জানান, আসামি সাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সিটি কর্পোরেশনের আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পরিচালক গোলাম ইয়াজদানীকে মারধরের ঘটনায় গত ২৯ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদি হয়ে খুলশী থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি হিসেবে ১০ ঠিকাদারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৫ থেকে ১০ জনকে।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এস জে ট্রেডার্সের সাহাবুদ্দিন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সঞ্জয় ভৌমিক, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ দে, মেসার্স খান করপোরেশনের হাবিব উল্ল্যাহ খান, মেসার্স নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের মো. নাজিম, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজের মো. ফিরোজ, মো. ফরহাদ, ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্সের মো. ইউসুফ ও জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের আশীষ।

এই মামলায় পুলিশ মোট পাঁচ ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করেছে।

এরআগে গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে একদল ঠিকাদার প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে ঢুকে তাকে মারধর করেন। এ সময় তার টেবিলের কাচ ও নামফলক ভেঙে ফেলা হয়। সিটি কর্পোরেশনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি বলে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!