শনিবার সকাল ১১টা। নগরীর দুই নম্বর গেইট মোড়। ব্যস্ত এই মোড়ে তখন দেখা মিলেছে সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের (উত্তর) উপ-কমিশনার আলী হোছাইনকে। সড়কে দাঁড়ানো একটি বাসের গায়ে তিনি লাগিয়ে দিচ্ছেন স্টিকার। সঙ্গে থাকা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও দেখা গেছে এই কাজে যুক্ত থাকতে। সিএনজি চালিত গাড়িতে লাগানো হলো সবুজ রঙের স্টিকার। লাল রঙের স্টিকার সাটানো হলো ডিজেল চালিত পরিবহনে। আর এই স্টিকারই বলে দেবে- এই গাড়িতে চড়লে ভাড়া দিতে হবে কতো!
ডিজেলে দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সিএনজি চালিতে যানবাহনে এই বর্ধিত ভাড়া যেন আদায় করতে না পারে সে জন্যই এই স্টিকার যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই চট্টগ্রাম মহানগরের ১৭টি রুটে সিএনজি ও ডিজেল চালিত গণপরিবহনে স্টিকার লাগানো শুরু করেছে সিএমপি’ ট্রাফিক বিভাগ। সিএনজি চালিত গাড়িতে সবুজ ও ডিজেল চালিত গাড়িতে লাগানো হচ্ছে লাল রঙের স্টিকার। পাশাপাশি ভাড়ার তালিকাও লাগানো হচ্ছে গণপরিবহনে।
সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নগরীর দুই নম্বর গেট, টাইগার পাস মোড়, আগ্রাবাদ মোড়, কাস্টমস মোড়ে এ স্টিকারগুলো লাগানো হচ্ছে।
এর আগে ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে ভাড়া বৃদ্ধির নির্দেশনা দেয় সরকার। শুধু ডিজেল চালিত যানবাহনে এ নির্দেশনা দেওয়া হলেও বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠে সিএনজি চালিত বিভিন্ন গাড়ির চালক-হেলপারদের বিরুদ্ধে। এরই প্রেক্ষিতে ভাড়া বিড়ম্বনা ঠেকাতে ডিজেল চালিত পরিবহনে লাল স্টিকার লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নগরীর চার স্থানে এ স্টিকারগুলো লাগানো শুরু হয়েছে।নগরের ১৭ টি রুটে এ স্টিকার লাগানো হবে। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের লিস্ট অনুযায়ী আমরা গণপরিবহনে লাল ও সবুজ স্টিকারগুলো লাগিয়ে দিচ্ছি। বেশি ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আলী হোছাইন জানান, ‘পুলিশ ও বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তিন, চার ও দশ নম্বর রুটের চলাচলকারী মেট্রোপ্রভাতী বাসে এই স্টিকার লাগানো হয়েছে। সেজন্য নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকাও লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
যাতে করে ভাড়া নিয়ে মানুষের বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়। এরপরেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিবো আমরা।’
আরএম/এমএফও