চট্টগ্রাম শিল্পকলায় কবিতা উৎসব শুরু বিকেলে

বর্ণিল অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী কবিতা উৎসব। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শান্তনু বিশ্বাসের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে এবারের উৎসব।

আবৃত্তি সংগঠন ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’-এর আয়োজনে উৎসবের অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে কবিতার মিছিল শিরোনামের শোভাযাত্রা, একক ও দলীয় আবৃত্তি, কবি-ছড়াকার কন্ঠে কবিতা ও ছড়াপাঠ, শিশু উৎসব, আবৃত্তি বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশ, কবিতার গান, উৎসব সংকলন প্রকাশ, নিবেদিত প্রযোজনা ও সুহৃদ সম্মিলন।

বিকেল ৪ টায় উৎসব উদ্বোধন করবেন কবি হেলাল হাফিজ। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস সভাপতি ভাগ্যধন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি থাকছেন দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান।

বিশেষ অতিথি থাকবেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, কবি মোহন রায়হান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ডা. আলী আজগর চৌধুরী, এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ভিশন বাংলাদেশের কর্মকর্তা দীপ নারায়ন চৌধুরী।

উদ্বোধনী দিনের আয়োজনে রয়েছে শান্তনু বিশ্বাসকে নিবেদিত প্রযোজনা— একক ও বৃন্দ আবৃত্তি, কবিতাপাঠ ও ছড়াপাঠ।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) উৎসবের দ্বিতীয় দিন আয়োজন শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে। সকালে রয়েছে কবি-ছড়াকার-আবৃত্তিশিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী সম্মিলন, একক ও বৃন্দ আবৃত্তি, কবিতাপাঠ ও ছড়াপাঠ। বিকেলে রয়েছে কবিতার মিছিল শিরোনামের শোভাযাত্রা। এরপর রয়েছে ‘তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সমৃদ্ধ পথচলার একযুগ’ শিরোনামের কথামালা।

এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। এদিন সন্ধ্যার আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করবেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমন্ত্রিত বরেণ্য ও জনপ্রিয় আবৃত্তিশিল্পীরা। আবৃত্তি পরিবেশন করবেন ভারতের দিল্লি এবং ত্রিপুরা থেকে আসা শিল্পীরাও।

উৎসবের সমাপনী দিন শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) থাকছে শিশু উৎসব। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। এদিন একক ও বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করবে বোধন আবৃত্তি পরিষদ, দৃষ্টি চট্টগ্রাম, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ, শৈশব বাচিক চর্চা কেন্দ্র, অযান্ত্রিক বাচিক চর্চালয়, ছায়াতরু আবৃত্তি ও চারুকলা অনুশীলন কেন্দ্র, একুশ আবৃত্তি ও মানবিকতা চর্চা কেন্দ্র এবং তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের শিশুশিল্পীরা। এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করবেন ভারতের কলকাতা থেকে আসা শিল্পীরা।