চট্টগ্রাম রেলে আরএনবির ১১ সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত, ৩ মাসেও পরিষ্কার হয়নি নালা

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) ১১ সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন, আবার অনেকে এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন। আশপাশের নালায় ময়লা ও পানি জমে থাকায় বেড়েছে এডিস মশার বংশবিস্তার। এছাড়া গত তিন মাস ধরে রেলওয়ে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নকর্মীরাও ঠিকমতো নালা ও ময়লা পরিষ্কার করছে না বলেও অভিযোগ ওঠেছে। নিয়মিত ছিটানো হচ্ছে না মশার ওষুধও। ফলে আরএনবির চৌকি ও ব্যারাকে থাকা সদস্যরা রয়েছেন ঝুঁকিতে।

জানা গেছে, গত এক মাস ধরে বেড়েছে মশার উৎপাত। মূলত নালার কাজ সম্পূর্ণ শেষ না করা ও জমে থাকা পানি থেকেই ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তার হচ্ছে। প্রকৌশল (২) পাহাড়তলীর অধীনে আরএনবির ব্যারাকের পেছনে নালার সংস্কার ও নির্মাণকাজ পান ঠিকাদার মামুন। কিন্তু সেপ্টেম্বরে হঠাৎ তিনি কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে নালায় ময়লা জমে পানি চলাচল নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। আর সেই পানিতেই বংশবিস্তার করেছে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পুরাতন রেলস্টেশনের আরএনবির চৌকি ও ব্যারাকে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যারাকের পেছনের নালায় পানি জমে আছে। আর তার ওপর ভাসছে মশা। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা।

গোফরান উদ্দিন নামে রেলের এক কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, ‘রেলওয়ে (সিআরবি) হাসপাতালের অধিকাংশ পরিচ্ছন্নকর্মী বসে বসে বেতন-ভাতা নেন। নিয়মিত ফগার মেশিনে মশা ওষুধ এবং ব্লিচিং পাউডার ছিটানো, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কথা থাকলেও দুই-তিন মাসে এখানে তাদের পা পড়েনি।’

আরএনবির চিফ ইন্সপেক্টর (সিআই) রেজয়ানুর রহমান বলেন, ‘আমি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এখনও পর্যন্ত ১১ জন সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।’

ঠিকাদার মামুন বলেন, ‘অফিসিয়াল জটিলতা থাকায় কাজ বন্ধ রেখেছি। তবে আবার দ্রুত শুরু করবো।’

নালার কাজ ফেলে রাখার বিষয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী (২) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ ফেলে রাখার সুযোগ নেই। আমি এখনই খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

রেলওয়ে হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার আব্দুল আহাদ বলেন, ‘প্রতিদিন মশা নিধন ও ময়লা পরিষ্কারের জন্য লোকজন কাজ করছে।’

পরিচ্ছন্নকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আমি ব্যবস্থা নেবো।’

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!