চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে টিকেট চেকিংয়ের নামে চাঁদাবাজি

লাকসাম থেকে ট্রেনযোগে ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে আসেন আবদুর রহমান (৪০)। চট্টগ্রাম রেলস্টেশন পার হতেই তাকে আটকান কথিত ‘টিকেট চেকার’ শফি ও শাকিল। ১০ বছরের সন্তানের টিকেট না থাকায় তারা রহমানের কাছে ২২০ টাকা জরিমানা দাবি করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে টিকেট চেকারের নাম ও পদবি জানতে চাইলে দুজনই দ্রুত কেটে পড়েন।

এটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের নিয়মিত চিত্র। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাত্রী হয়রানি বেড়েছে আশংকাজনকভাবে। নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যাত্রী হয়রানির ঘটনা ঘটছে এখানে। টিসি (টিকেট চেকার) নয়, এমন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা টিটি, টিসির ড্রেস পড়ে, বুকে নেমপ্লেট লাগিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে বাড়তি টাকা। ভয় দেখিয়ে জরিমানার নামেও টাকা আদায় করছে।

এছাড়া স্ট্যান্ডিং টিকেট বন্ধ থাকায় বাড়তি ভাড়ার রশিদের মাধ্যমে যাত্রী বহন করারও অভিযোগ রয়েছে রেল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে টিটি ও টিসি নামধারীর হাতে যাত্রীদের টিকেট চেকের নামে চাঁদাবাজির সত্যতা মিলে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ও ছবি তুলতে চাইলে তারা দ্রুত সটকে পড়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহসিন ও শফি নামে দুজন টিটি ও টিসিদের ‘ম্যানেজ’ করে প্রতিদিন টিকেট চেকিংয়ের নামে রেলস্টেশনে চাঁদাবাজি করে। মহসিন রেলের পোর্টার আর শফি কল বয়। যাত্রী হয়রানি করায় থানায় মহসিনের বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে।

স্টেশন মাস্টার জাফর আহমেদ জানান, ‘চট্টগ্রাম স্টেশনে ১৮জন টিটি, ১৩ জন টিসি কর্মরত রয়েছেন। তাদের ছাড়া আর কারোই টিকেট চেক করার সুযোগ নেই।’

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, ‘যাত্রীদের অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তবে তিনি লোকবল সংকট কারণে এমন ব্যক্তিদের দিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে বলে জানান।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!