চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ফুটওভার ব্রিজের গেটে ঝুলছে তালা, দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে প্লাটফর্মের ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ সিঁড়িগুলো এখনও খুলে দেওয়া হয়নি। করোনার সময় এসব সিঁড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সেগুলোর সংস্কারকাজ করা হয়। কিন্তু সংস্কারকাজ করার পরও যাত্রীদের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি এসব সিঁড়ির গেটমুখ। ফলে যাত্রীদের প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আধা কিলোমিটার পথ ঘুরে পৌঁছাতে হচ্ছে ট্রেনের কাছে।

তবে রেল কর্তৃপক্ষ পক্ষের দাবি, লোকবল সংকটের কারণে এসব সিঁড়ি খোলা যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে আছে ছিনতাইয়েরও ভয়।

অথচ প্রতিদিন স্টেশনে ১৪টি ট্রেন যায় এবং আসে। এসব ট্রেনের যাত্রীদের টিকিট দেখতে ২৮ জন টিটি ও টিসি আছে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্য আছে ১১২ জন। এরপরও লোকবল সংকটের কথা বলে গেট বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর আগে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে এসব তালাবদ্ধ সিঁড়ি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে শুধুমাত্র ফুটওভার ব্রিজের একাংশ খুলে দেওয়া হয় স্টেশন কলোনিতে জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য। বাকি ৬টি গেটে এখনও ঝুলছে তালা।

জানা গেছে, প্রতিদিন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ১৪টি ট্রেন যায় এবং ১৪টি ট্রেন আসে। টিকিট চেকিংয়ের জন্য রেলের ২৮ জন টিটি ও টিসি রয়েছে। সেইসঙ্গে প্লাটফর্মে ডিউটিতে নিয়োজিত আছে ৩৮ জন আরএনবি সদস্য।আরও আছে গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)।

যদি প্রতি ট্রেনে একজন করে টিটি বা টিসি টিকিট চেকিংয়ের কাজে নিয়োজিত থাকে তাহলে বাকি ১৪ জনের তো কাজ থাকে না।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ফুটওভার ব্রিজে গিয়ে দেখা গেছে, জনসাধারণ যাতায়াত করলেও গেট বন্ধ ট্রেন যাত্রীদের জন্য।

আরও দেখা গেছে, ফুটওভার ব্রিজের ওপর দিয়ে লোকজন স্টেশন থেকে কলোনির দিকে
যাওয়া-আসা করছে। তালাবদ্ধ রয়েছে প্লাটফর্ম সংযুক্ত সিঁড়ি। ফলে ট্রেনের যাত্রীদের প্রায় আধা কিলোমিটার ঘুরে স্টেশনে প্রবেশ এবং বের হতে হচ্ছে।

স্টেশনে কথা হয় ট্রেনযাত্রী আব্দুল আজিজের সঙ্গে। তিনি বলেন, ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে লোকজন এপার থেকে ওপার চলাচল করলেও শুধু যাত্রী জন্য রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ফুটওভার ব্রিজটি কার স্বার্থে নির্মাণ করা হয়েছে?

জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন মুকুল বলেন, ‘ট্রেন টিকিট কালেক্টর (টিটি) ১৫ জন ও টিকিট চেকার ১৩ জনসহ মোট ২৮জন কর্মচারী টিকিট চেকিংয়ে কাজ করছেন।

স্টেশনের নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ ইন্সপেক্টর আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘আমাদের লোক সংখ্যা ১২২জন। তাদের ট্রেনসহ বিভিন্ন স্থানে ডিউটি দিয়ে ৩৮ জনকে স্টেশনে নিয়োজিত রাখা হয়েছে।’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় কর্মব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান বলেন, ‘লোকবল সংকটের কারণে ও ছিনতাইকারীর ভয়ে যাত্রীদের ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে
প্লাটফর্ম লিংক সিঁড়িগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে আলোচনা করে তবেই খোলার ব্যবস্থা করবো।’

এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!