চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস দখলে রাখাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার জের ধরে ছাত্রাবাস খালি করার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ প্রশাসন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা সাতটার দিকে চকবাজার থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ছাড়া সকল শিক্ষার্থীই হলত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিকলে সাড়ে চারটার দিকে ছাত্রাবাসের ক্যান্টিনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের মোট ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে অনির্বাণ কুমার দে (২২) নামে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। অনির্বাণ দে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মেডিকেল কলেজ বন্ধ থাকলেও হলে শিক্ষার্থী ছিল। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতারা হলে উঠেন। পরে বিকেলে তাদের কয়েকজন হলের ক্যান্টিনে গেলে ক্যান্টিনে আগে থেকে থাকা আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
হলে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এই ঘটনার পর কঠোর অবস্থানে গেছে চমেক প্রশাসন। তাৎক্ষণিকভাবে ইন্টার্ন চিকিৎসক শিক্ষার্থী ছাড়া সকলকে হল ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
চমেকের অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কলেজ বন্ধ। এর মধ্যে কারও হলে থাকার সুযোগ নেই। বিকেলে এই ঝামেলার পর আমাদের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সকলেই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। আমরা সকল শিক্ষার্থীকে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি। সিএমপির চকবাজার জোনের এসির নেতৃত্বে পুলিশ সন্ধ্যার মধ্যেই হল খালি করে দিয়েছে। এখন ইন্টার্ন ডাক্তাররা ছাড়া কেউই আর হলে থাকবে না।’
এআরটি/সিপি