চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে শিক্ষা ও শান্তির পরিবেশ চান আ জ ম নাছিরের অনুসারীরা

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের চার শিক্ষার্থীর উপর ছাত্রলীগের নির্যাতনের ঘটনার পর এবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায় মেডিকেল ছাত্রলীগের আ জ ম নাছিরের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। যদিও নির্যাতনের অভিযোগ ছিল শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারীর হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।

ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের আত্মমর্যাদা-ব্যক্তিত্ব-প্রতিভার বিকাশ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এই ক্যাম্পেইন করার কথা জানিয়েছে নাছিরপন্থিরা।

ছাত্রলীগের ব্যানারে ‘অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট র‍্যাগিং এন্ড সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ইন ক্যাম্পাস’ শিরোনামে ক্যাম্পেইন করেছে তারা।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মেডিকেলের গোলচত্বরে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।

ক্যাম্পেইনে র‍্যাগিং এন্ড সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সম্পর্কিত সচেতনতামূলক প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ সময় মেডিকেল ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের আত্মমর্যাদা-ব্যক্তিত্ব-প্রতিভার বিকাশ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এই ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে যাতে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের স্বীকার না হয়, সেটির দিকে নজর রাখবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতে ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আরো জানান, এই অঞ্চলের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তো বটেই দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসেন। তাই দেশী-বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস করতে ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের ভূমিকা রয়েছে।

এতে ৬০ তম ব্যাচের কায়েস মাহমুদ, আহসান উল্লাহ, এস এম জিয়া উদ্দীন, শাহেদ কামাল, পল্লব বিশ্বাস, মুকেশ রঞ্জন দে, মো. ফয়সাল ও রাহাতসহ মেডিকেল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে চার ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে নওফেলপন্থি ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।

নির্যাতনের শিকার চার শিক্ষার্থী হলেন- জাহিদ হোসেন ওয়াকিল, সাকিব হোসেন, এম এ রায়াহান, মোবাশ্বের হোসেন শুভ্র। এর মধ্যে জাহিদ ও সাকিব হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, নওফেল অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগ নেতা অভিজিৎ দাশ, রিয়াজুল জয়, জাকির হোসেন সায়াল এবং মাহিন আহমেদের নেতৃত্বে নির্যাতন চালানো হয়।

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!