চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে খাবারের দাম কমলো ছাত্রসংসদের চাপে

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের মেসে খাবারের দাম কমাতে হল ছাত্রলীগ ও ছাত্রসংসদের দাবির মুখে। বর্তমান বাজারদর ও শিক্ষার্থীদের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে নতুন এই মূল্যতালিকার অনুমোদনও দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেইন হোস্টেল বা প্রধান ছাত্রাবাসে শুধুমাত্র এমবিবিএস চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। সংখ্যায় এরা ১০৫ থেকে ১১০ জন হলেও বহিরাগতসহ সেখানে এখানে অবস্থানকারীর সংখ্যা অন্তত ১৩০ জন। আগামী ১৬ তারিখ থেকে এমবিবিএস চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, নতুন মূল্যতালিকায় মুরগির মাংস-ভাত-ডাল ও সবজির দাম রাখা হয়েছে ৪৫ টাকা, মাছ-ভাত-ডাল ও সবজির দাম ৪৫ টাকা, গরুর মাংস-ভাত-ডাল ও সবজি ৭০ টাকা, খাসির মাংস-ভাত-ডাল ও সবজি ৮০ টাকা, দেশি মুরগির মাংস-ভাত-ডাল ও সবজি ৭৫ টাকা, খিচুড়ি-মুরগির মাংস ও সালাদ ৬০ টাকা, পোলাও-মুরগির মাংস ও সালাদ ৬০ টাকা, ডিম-ভর্তা-ডাল ও সবজি ৩০ টাকা ধরা হয়েছে।

প্রধান ছাত্রাবাসের ক্যান্টিনে কলেজের পক্ষ থেকে দুজন বাবুর্চি নিয়োগ দেওয়া রয়েছে। তবে বেসরকারিভাবে রফিক বাবুর্চি নামে আরও একজন প্রায় ১০ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। রফিকের সহযোগী হিসেবে তার ভাইও থাকেন। রফিকের ৮ হাজার টাকা ও তার ভাইয়ের ৬ হাজার টাকা হোস্টেলের নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধ করা হয়।

জানা গেছে, কলেজ যখন খোলা ছিল, তখন খাবারের অতিরিক্ত দাম নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের কথা কয়েক দফায় জানানো হয়েছিল হোস্টেল তত্ত্বাবধায়ককে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। পরে মূলত ছাত্রসংসদের চাপের মুখে দাম কমাতে বাধ্য হয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রসংসদের অনেকে এবারের এমবিবিএস চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

জানা গেছে, খাদ্যতালিকায় যে দাম কমানো হয়েছে, তার ভর্তুকি হোস্টেলের নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।

প্রধান ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ও হোস্টেল কমিটির সদস্য সচিব ডা. রেজোয়ান রেহান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা মূল্য কমিয়ে একটা দৃষ্টান্তমূলক নজির স্থাপন করেছি। আগের দামের চেয়ে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা কমে ছাত্ররা ভালো খাবার পাবে।’

ছাত্রসংসদের চাপে দাম কমানো হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘না তা হবে কেন? তবে তারা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা একসাথে বসে মিটিং করে দাম ঠিক করেছি। পরে আমরা কলেজ অধ্যক্ষকে অবহিত করে মূল্যতালিকা অনুমোদন করে নিয়েছি।’

চট্টগ্রামের রাজনীতিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীপুত্র শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারীরা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে বেশি সক্রিয় থাকলেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পুরো ছাত্ররাজনীতি, ছাত্রলীগের কমিটি ও সংসদ রয়েছে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে। অন্তত ২৬ বছর ধরে নাছির অনুসারীরা ছাত্রলীগের মেডিকেল কলেজ ইউনিটটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

আইএমই/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!