চট্টগ্রাম মেডিকেলে ফার্মেসির কর্মচারী পেটাল নওফেল অনুসারীরা, ছাত্রাবাসে বেঁধে রেখেছে ২ জনকে

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি  বিভাগের পাশে ন্যায্য মূল্যের দোকানে হামলা চালিয়েছে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল গ্রুপের অনুসারীরা। এই সময় দোকানের এক কর্মচারীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এছাড়া ঘটনার কথা মিডিযাকে বলায় দোকানের দুই কর্মচারীকে ছাত্রাবাসে নিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ‘সারভাইকাল কলার’  কিনতে গিয়ে ঠুনকো বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটানো হয়।

আহত দোকান কর্মচারীর নাম জনি। তার ঠোঁটে মারাত্মক জখম হওয়ায় সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া তাকে ইটের টুকরো দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) হামলার ঘটনা মিডিয়াকে জানানোর খবরের ক্ষুব্ধ হয়ে নওফেল অনুসারী অভিজিৎ বাহিনী ওই ফার্মেসির দুই কর্মচারীকে ধরে নিয়ে মেডিকেল ছাত্রাবাস রুম নম্বর’১৭-এ’তে বেঁধে রেখেছে।

বেঁধে রাখা ওই দুজন হলেন ফার্মেসির ম্যানেজার ঝুটন নাথ ও মালিকের ভগ্নিপতি পিন্টু দাশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলায় নওফেল গ্রুপের অনুসারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া ৫৮তম ব্যাচ শেষবর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুল রহমান ইয়ন, ৬০তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অভিজিৎ দাস, ৬১তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম হৃদয়, মো. হাবিব ও  আশরাফুল ইসলাম সজিব এবং ৬২তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহিন আহমেদ জড়িত ছিলেন।

এই হামলার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে এসেছে। ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক জরুরি বিভাগের পাশের ওই ফার্মেসিতে আসে। এরপর ভেতরে ঢুকে কর্মচারীর ওপর হামলা চালায় এবং ফার্মেসির মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করে।

মুঠোফোনে এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্মেসির মালিক সঞ্জয় সেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে আমার দোকানের কর্মচারীর ওপর হামলা করে কিছু ছেলে। তারা ‘সারভাইভাল  কলার’ কিনতে দোকানে আসে। কলারগুলো কিছুটা কম চলে। আমার দোকানের কর্মচারী সেগুলো ওপরে রেখেছিল, সেখান থেকে নামিয়ে দিচ্ছিলেন। যেহেতু এগুলো অনেক ওপরে থাকে তাই এসবে কিছুটা ময়লা পড়ে।’

তিনি বলেন, ‘সারভাইকাল কলার কিনতে আসা ওই যুবক প্যাকেটে ময়লা কেন জানতে চান। এরপর পরিষ্কার করার সুযোগ না দিয়ে ৪-৫ জন মিলে আমার কর্মচারী জনির ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় আমাদের  দোকানের মালামাল ওনষ্ট  করে। জনির মুখে সেলাই দিতে হয়েছে এবং সে শারিরীকভাবে অসুস্থ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপাতত ভারতের কলকাতায় আছি, সেজন্য এখনো এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিইনি। আমি দেশে ফিরে অবশ্যই হাসপাতালের পরিচালককে অবহিত  করবো। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কেন এমন হামলা করা হয়েছে, সেটি বুঝে উঠতে পারছি না।’

ইএমআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!