চট্টগ্রাম মেডিকেলে এমআরআই মেশিন ৪ মাস ধরে অকেজো, রোগী ছুটছে বাইরের ল্যাবে

ওয়ারেন্টিও শেষ, মেরামতে দরকার ১০ লাখ টাকা

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ লাখ টাকার অভাবে ৪ মাস ধরে অকেজো পড়ে আছে ১০ কোটি টাকার এমআরআই মেশিন। ফলে রোগীদের ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার পরীক্ষা দ্বিগুণ দামে বাইরের ল্যাব থেকে করাতে হচ্ছে।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর এমআরআই মেশিনে হঠাৎ যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় রোগীদের সেবা কার্যক্রম। গত ২৯ অক্টোবর হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের প্রধান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। মেশিনটিতে প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩০টি পরীক্ষা করানো হতো।

জানা গেছে, হাসপাতাল পরিচালক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে (নিমিইউ অ্যান্ড টিসি) যোগাযোগ করেছেন। এমআরআই মেশিনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু যন্ত্রাংশ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মেরামত করতে প্রায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। যা নিমিইউ অ্যান্ড টিসি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া অসম্ভব। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মেশিনটির ওয়ারেন্টির সময়সীমা শেষ হওয়ায় সার্ভিসিং বাবদ যাবতীয় খরচ এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হয়। যদিও সার্ভিসিং বাবদ ওই বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন নিমিইউ অ্যান্ড টিসি থেকে অনুমোদন নিতে হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জার্মানির ‘হিটাচি ১.৫ টেসলা’ এই মেশিন সরবরাহ করে ঢাকার মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর চালু হওয়ার মেশিনটি যান্ত্রিক সমস্যায় অচল হয়ে পড়ে গত বছরের অক্টোবর মাসে।

এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের অক্টোবরে অচল হয়ে পড়ে মেশিনটি। পরে ২০২১ সালের মে মাসে সার্ভিসিংয়ের মাধ্যমে মেশিনটি সচল করে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড। ওই সময় মেশিন সার্ভিসিং বাবদ সাড়ে ১০ লাখ টাকা বিল করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কয়েক মাস পেরোতেই ফের অকেজো হয়ে পড়ে এই এমআরআই মেশিন। এতে আবারও বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের এমআরআই সেবা।

চট্টগ্রাম মেডিকেলের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার বলেন, ‘অকেজো এমআরআই মেশিনটি সচল করতে ৯ থেকে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা নিমিইউ অ্যান্ড টিসি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা অর্থ ছাড় করলে মেরামত করা যাবে মেশিন। কিন্তু তারা অর্থ ছাড়ে আগ্রহী না।’

তিনি বলেন, ‘আমরাও চেষ্টা করছি, কিভাবে দ্রুত মেশিনটি চালু করা যায়। আমরা অর্থ ছাড়ের জন্য চিঠি লিখে যাচ্ছি নিমিইউ অ্যান্ড টিসিকে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!