চট্টগ্রামে সেকেলে বিমানবন্দর আধুনিক হবে ৪৭৩ কোটি টাকায়

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে। বাড়ানো হবে বিমানবন্দরের রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের পরিধিও।

বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিমান মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামকে আমরা বলছি কমার্শিয়াল হাব। চট্টগ্রামকে কমার্শিয়াল হাব হিসেবে রূপান্তর করতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর ফলে এই বিমানবন্দরে বড় বড় এয়ারক্রাফট ওঠানামা করতে পারবে।’

জানা গেছে, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের রানওয়ের বিটুমিনাস কংক্রিটের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে এবং পিসিএন অনেকাংশে কমেছে। কিন্তু বিমানবন্দরে যাত্রী, কার্গো ও বিমান চলাচলের সংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি), বুয়েটের সমীক্ষা অনুযায়ী, রানওয়ের বর্তমান পিসিএন ৪৬ কিন্তু বোয়িং ৭৭৭ জাতীয় বিমান চলাচলের পিসিএন দরকার ৯০। এ অবস্থায় বোয়িং-৭৭৭ জাতীয় সুপরিসর বিমানের নিরাপদ অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালী করতে জিওবি অর্থায়নে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ৫৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি ২০১৮ সালের ৫ মার্চ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয় বলে জানা গেছে।

দেশীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স মির আকতার এবং সিএএমসিই আধুনিকায়নের কাজটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!