চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কোরআন শরীফের আড়ালে এসেছিল অবৈধ পণ্য, সন্দেহ কাস্টমসের

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো শেডে ৬ কার্টনে আসা ১৩২ পিস কোরআন শরীফ পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। দুবাইয়ের শারজাহ থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসা এসব কোরআন শরীফ কে বা কারা নিয়ে এসেছিল তার কোনো হদিস পাচ্ছেন কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তবে বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তাদের ধারণা, অসাধু কোনো চক্র ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে পবিত্র কোরআন শরীফের সাথে অন্য কিছু পাচার করতে চেয়েছিল। বিমানবন্দর কাস্টমস শাখা সজাগ থাকায় তা হয়তো আর পেরে ওঠেনি। ফলে এসব কোরআন শরীফও না নিয়ে ফেলে গেছে বিমানবন্দরের কার্গো শেডে।

বিমানবন্দরের কার্গো শাখা থেকে জানা যায়, ছয়টি আলাদা প্যাকেট মোড়ানো এসব কোরআন শরীফের প্যাকেটের গায়ে ‘এ ডব্লিউ বি ৬০৭.৭১০৬.০৫০০’ এবং ‘কান্ট্রি অব অরিজিন শারজাহ’ লেখা রয়েছে।

সম্প্রতি এসব কোরআন শরীফ কাস্টমসের নিলাম শাখায় পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দর থেকে। তবে এগুলো নিলামে তোলার চেয়েও কোনো মাদ্রাসা বা মসজিদে দান করে দেওয়ার পক্ষেই সুপারিশ করা হচ্ছে বিমানবন্দরে কাস্টমস শাখা থেকে।

তবে কাস্টমসের জব্দ বা আটক অথবা পণ্য খালাস না নিলে সেগুলো নিলাম শাখার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি করার নিয়ম রয়েছে। ফলে কোরআন শরীফগুলোর বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে কাস্টমসের নিলাম শাখা। সেজন্য কোরআন শরীফগুলো বিমানবন্দর থেকে কাস্টমসের গুদামে পাঠানো হচ্ছে। যা নিলাম শাখা কোনো মাদ্রাসা বা মসজিদে দান করে দিতে পারে।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর কাস্টমসের উপ-কমিশনার রোখসানা খাতুন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, যে কোন পণ্য নির্দিষ্ট দিনে ছাড় না নিলে সেটি নিলামে চলে যায়। কোরআন শরীফগুলো প্রায় দুই বছর ধরে বিমানবন্দরে পড়ে রয়েছে। তাই সেগুলো নিলামে তোলার জন্য কাস্টমসের নিলাম শাখায় পাঠানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুভুতি কাজে লাগিয়ে কেউ কোরআন শরীফের সাথে অন্য কিছু যেমন অবৈধ সিগারেট কিংবা উচ্চ শুল্কায়নযোগ্য পণ্য পাচার করতে চেয়েছিল। কাস্টমস সজাগ থাকায় যা হয়তো সম্ভব হয়নি।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!