চট্টগ্রাম বিআরটিএতে দুদকের অভিযান

পদে পদে হয়রানি, ঘুষ লেনদেন ও দালাল চক্রের উৎপাত বন্ধ করতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে (বিআরটিএ) অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মাহমুদা ইসলাম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক লুৎফর কবীর চন্দন।

অভিযানে তারা লার্নার লাইসেন্স শাখা মেট্রো ও জেলা, রেজিস্ট্রেশন সনদ বিতরণ, মোটরযান মালিকানা বদল, ইঞ্জিন পরিবর্তন, রেকর্ড রুম পরিদর্শন করেন।

এ সময় দুদক দুই নম্বর বিল্ডিংয়ে ফিটনেস শাখা ওয়ানস্টপ কাউন্টার ও রুট পার্মিট সম্পর্কে মো. মোতালেব, মো. শাহজাহান, খোরশেদ আলমের কাছে দালাল চক্রের তৎপরতা ও অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা বিআরটিএতে দালালের উৎপাত, অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে এই অভিযান পরিচালনা করেছি।’

জানা যায়, ১৫ বছরের পুরনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ক্র্যাপ ঘোষণার আওতায় এনে নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশনযোগ্য করার নামে ৩০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বিআরটিএভিত্তিক একটি সিন্ডিকেট। অথচ এসব গাড়ি স্ক্র্যাপ করতে সরকারি কোনো খরচের খাত কিংবা বিধান নেই। এরপরও ‘স্ক্র্যাপ ঘোষণা’র আওতায় পড়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিকদের গুণতে হচ্ছে হাজার থেকে লাখ টাকার ঘুষ। এরই মধ্যে ছয় হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে স্ক্র্যাপযোগ্য করার নামে আনুপাতিক হিসাব অনুসারে অন্তত ৩৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিআরটিএর একটি সিন্ডিকেট। জামাল উদ্দিন নামে এক অফিস সহকারীর নেতৃত্বে এই সিন্ডিকেটে রয়েছে বিআরটিএর অন্তত ৩০ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এর আগে, বিআরটিএর বিরুদ্ধে ৩৫ কোটি টাকার সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ বাণিজ্য ও চার শো-রুমের ঘুষের খবর প্রকাশ করে চট্টগ্রাম প্রতিদিন। গত ২৭ মে সংবাদটি প্রচার হলে নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!