চট্টগ্রাম বন্দরে মিলল আরও ২ কন্টেইনার মদ

চট্টগ্রাম বন্দরে আরও ২ কন্টেইনার মদের চালান আটক করেছে কাস্টমস হাউস।

সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে এই মদের চালান আটক করা হয়।

নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড কাচামাল পলিপ্রোপালিন আনাফ ঘোষণা দিয়ে চীন থেকে এক কন্টেইনার মদ নিয়ে আসে।

এছাড়া বাগেরহাটের মংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড টেক্সচার্ড সুতা ঘোষণায় চীন থেকে অপর এক কনটেইনার মদ আমদানি করেন।

যা শুরুতে চট্টগ্রামের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটের মাধ্যমে বিল অব ল্যান্ডিং (বিএল) ব্লক করা হয়। পরে কন্টেইনার খুলে দেখেন কাস্টমসের কর্মকর্তারা। এতে দুটি কন্টেইনারেই বিদেশী মদ পাওয়া যায়।

কাস্টমস হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) ও পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট বিল অব ল্যান্ডিং (বিএল) ব্লক করা হয়েছিল চালান দুটির। যা কাস্টমস হাউসে বিল অব এন্টি দাখিল করা হয়নি।

কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক বলেন, ‘সব ধরণের কাগজপত্র জাল করেই আমদানি হয়েছে এ চালানগুলো। আমাদের ধারণা হচ্ছে আরও কিছু কন্টেইনার পাওয়া যাবে বন্দরে।’

এর আগে রোববার জব্দ হওয়া এক কন্টেইনার মদও আমদানি করা হয় নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল (বিডি) কোম্পানি লিমিটেডের নামে।

গত শনিবার আরও দুই কন্টেইনার মদ জব্দ হয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। সব মিলে মোট ৫ কনটেইনার মদ জব্দ হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।

এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারে মদ জব্দ হওয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার-১ আবু নুর রাশেদ আহমেদকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করেছে কাস্টমস হাউস। ১০ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!