মদকাণ্ডের হোতা খোঁজার চেষ্টায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের ৫ মামলা

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মদ আমদানির ঘটনায় পাঁচটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায়। মামলায় মদ আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের আসামি করা হয়েছে। মামলাগুলোতে বাদি হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের পাঁচ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা।

সোমবার (১ আগস্ট) চারটি ও আগের দিন রোববার একটি মামলা দায়ের করা হয় বন্দর থানায়।

এর আগে ২২ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই তিনদিনে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) ও পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটের (পিসিইউ) মাধ্যমে বিল অব ল্যান্ডিংয়ের (বিএল)মাধ্যমে পাঁচ কনটেইনার মদের চালান জব্দ করে।

মদের চালানের মধ্যে ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিএইচকে টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের নামে একটি, কুমিল্লা ইপিজেডের হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেডের নামে একটি, নীলফামারী উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল (বিডি) কোম্পানি লিমিটেডের দুটি, বাগেরহাটের মংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের একটি করে মোট ৫টি চালানে কনটেইনার করে মদ আমদানি করে চীন থেকে। গার্মেন্টসের পণ্য আনার মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে এসব চালান আনা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের আসামি করা হয় মামলায়।

এছাড়া ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিএইচকে টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও কুমিল্লা ইপিজেডের হাসি টাইগার কোম্পানি লিমিটেড জালিয়াতি করে খালাসের ঘটনায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকেও আসামি করা হয়। তবে অপর তিন কনটেইনার বিএল’র মাধ্যমে জব্দ হওয়ায় বা সিঅ্যঅন্ডএফ না থাকায় শুধুমাত্র আমানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

পাঁচ মামলার বাদিরা হলেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার সহকারী কর্মকর্তা আবদুর রউফ, ওয়াহিদুজ্জামান, মেহেদী হাসান, নুরুল হুদা ও মাহবুবুল হাসান।

শুরুতে কাস্টমসের সব ধরনের কাগজপত্র জালিয়াতি করে দুই কনটেইনার মদের চালান খালাস করার পর বন্দরের ইয়ার্ড থেকে আরও তিনটি কনটেইনার জব্দ করেন কাস্টমসের কর্মকর্তারা। পরে ওটিপির মাধ্যমে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানতে পারেন, নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকা থেকে সব ধরনের কাগজ জাল ও আইপি হ্যাক করে জালিয়াত চক্র।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সালাউদ্দিন রেজভী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মদের চালান আমদানির ঘটনায় পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে নগরীর বন্দর থানায়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়।’

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!