চট্টগ্রাম বন্দরে তিন নম্বর সংকেত, গভীর সমুদ্রে জলযান যেতে মানা

ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে—এমন আশংকায় চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) অধিদপ্তরের আবহাওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর (পুনঃ) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’

ওই বার্তায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা প্রধান আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে। সে সঙ্গে কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো বাতাসের সাথে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বাতাস পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে যা অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করায় যানবাহন নিয়ে গভীর সমুদ্রে যাওয়া যাবে না।’

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দরের উপ সংরক্ষক ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করায় আমরা চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-১ জারি করেছি। এর মানে হলো আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। চার নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হলে আমরা অ্যালার্ট-২ জারি করবো। তার মানে হলো তখন আমরা স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বিভাগীয় সভা করে করণীয় নির্ধারণ করবো।’

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!