চট্টগ্রাম বন্দরে অভিনব কৌশলে কন্টেইনার পাচারের চেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড থেকে অভিনব কৌশলে কাপড় ভর্তি একটি কন্টেইনার পাচারের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. গোলাম ফারুক খান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খান এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে দুটি গাড়ির গেইটপাস ইস্যু হয়। কিন্তু গেইটপাস চেকিংয়ে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা দেখেন গাড়িগুলো যে কন্টেইনারে পণ্য লোড করবে তা ওই সিঅ্যান্ডএফের অ্যাসাইনমেন্টভুক্ত নয়। তাই কাভার্ডভ্যান দুটি এবং কন্টেইনারটি আটক করে। এর সঙ্গে খান এন্টারপ্রাইজের জেটি সরকার মো. গোলাম ফারুক খানকেও আটক করা হয়।

বন্দর কর্তকর্তারা জানান, ফেব্রিক্স ভর্তি কনটেইনারটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর ডেলিভারির জন্য (সিরিয়াল-১৩, সিসিটি ইয়ার্ড) প্রকৃত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট দ্রুত ইন্টারন্যাশনালের অনুকূলে অ্যাসাইনমেন্টভুক্ত ছিল।

খান এন্টারপ্রাইজ নিজেদের বেবি ডায়াপার ভর্তি ৩ কন্টেইনার পণ্য এনসিটি ইয়ার্ডের ডেলিভারি অ্যাসাইনমেন্টভুক্ত ছিল। এর সুযোগে ৯টি খালি কাভার্ডভ্যান বন্দরে ঢোকায় তারা। যা ৭টি গাড়িতেই খালাস নেওয়া সম্ভব ছিল। বাকি দুটি গাড়িতে তারা ফেব্রিক্সের কনটেইনারের পণ্য ভর্তি করে বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

ঢাকার জিম অ্যান্ড জেসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ফেব্রিক্সগুলো আমদানি করেছে। কন্টেইনারটি ডেলিভারি নেওয়ার জন্য দ্রুত ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে চট্টগ্রামের একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান শুল্কায়ন সম্পন্ন করে। ডেলিভারির জন্য নথিও জমা দেওয়া হয় বন্দরের সংশ্লিষ্ট শাখায়।

এই বিষয়ে কাস্টমসের এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেলে খান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান কন্টেইনারটি ডেলিভারি নেওয়ার জন্য নথি জমা দেয়। উক্ত নথিগুলো বন্দরের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। তা দেখে মনে হচ্ছে এগুলো ভুয়া। তারা বন্দর থেকে কৌশলে একটি কন্টেইনার পাচারের চেষ্টা করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। বন্দর নিরাপত্তা বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এএস/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!