চট্টগ্রাম বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের করাণে বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম বন্দরের সকল কার্যক্রম রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয়েছে। বন্দর জেটিতে ভীড়েছে ৮ টি জাহাজ। বন্দর সচিব ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ বন্দর রেড এলার্ট-৩ জারি করেছে। বন্দরে দুটি আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর জেটি থেকে জাহাজ খালি করা হয়েছে। বড় জাহাজকে বহির্নোঙ্গরে এবং ছোট জাহাজকে কালুরঘাট শাহ আমানত সেতুর কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম বন্দরে সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে সিগন্যাল নম্বর-৬। কতৃপক্ষ সকল অপারেশনাল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ডিসি স্যার নৌ-বিভাগের সকল কর্মচারীদের জানমালের নিরাপত্তায় স্ব-স্ব জাহাজে অবস্হান করে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলেছেন।’

চট্টগ্রাম বন্দরের নৌ-বিভাগে কন্ট্রোল রুম নম্বর ০৩১-৭২৬৯১৬ ও পরিবহন বিভাগের কন্ট্রোল রুম ০৩১-২৫১০৮৭৮।

চট্টগ্রাম বন্দরের উপ-পরিচালক ক্যাপ্টেন ফরিদ উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে ১৭টি জাহাজ অবস্থান করেছিল। সেগুলোকে বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছোট জাহাজগুলোকে শাহ আমানত সেতুর কাছে পাঠিয়ে দিয়ে বন্দর সম্পূর্ণ খালি করা হয়েছিল। এখন সে গুলো আবার নিয়ে আসা হচ্ছে।

কিন্তু বন্দর বহির্নোঙ্গরে অবস্থান করছে পণ্যবাহী ৫৫টি জাহাজ। এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ করা হয়েছিল। সেখানেও কাজ শুরু হয়েছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ৬ নম্বর সংকেত জারির পর চট্টগ্রাম সুমদ্র বন্দরে লাইটারেজ কোনো জাহাজ কর্ণফুলী নদী থেকে বঙ্গোপসাগরে বহির্নোঙ্গরে যাচ্ছে না। ঝুঁকি এড়াতে বন্দরের জেটি থেকে সব জাহাজ বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। জেটিতে ক্রেনসহ কন্টেইনার ও পণ্য ওঠানামায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম সুরক্ষার আদেশ দিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!