চট্টগ্রাম বন্দরের চেইন অব কমান্ডে দুর্বলতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ দুর্বলতা কেটে উঠতে হবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি। সোমবার (২০ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তাদের সাঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় বন্দর সিবিএ এর একাধিক নেতা ঢুকে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের চেইন অব কমান্ড ঠিক থাকতে হবে। সব জায়গায় ঢুকে পড়াটা ঠিক নয়। সব কিছুর একটি সিস্টেম আছে। চেইন অব কমান্ড মানতে হবে। সিবিএর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আরও অনেকে এখানে বসে আছেন। তাদের এখানে বসে থাকার কথা নয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজন থাকলে হয়। কাউকে খাটো করার জন্য বলছি না। শ্রমিকেরা আমাদের সম্পদ। আপনাদের দাবি-দাওয়া ও চাহিদা নিয়ে কথা বলবেন দুজন। বঙ্গবন্ধুর চেইন অব কমান্ড ঠিক ছিল বলেই স্বাধীনতা এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর চেইন অব কমান্ড আছে বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের হার্ট বলা যায়। বন্দরের কারণেই চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী আখ্যায়িত করা হয়। অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি চট্টগ্রাম বন্দর। চট্টগ্রামসহ সমগ্র বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে এ বন্দর।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বন্দরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনাদের ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেকে নিজের জায়গায় কাজ করত হবে। যদি দেখি, কর্তৃপক্ষ বন্দরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন; তখন প্রশান্তি পাই। বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে আপনাদের কাজ করে যেতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া ও এরশাদ বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর তা থমকে যায়। কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হল। চট্টগ্রামে গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা, বাঁশখালীতে হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালে সিরিজ বোমা হামলা, বিএনপির আমলে এগুলোই চলেছে।’
চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়া আসনের সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান সিরাজ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ, সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন, সচিব মো. ওমর ফারুক, বন্দর সিবিএ’র সভাপতি আবুল মনসুর, সাধারণ সম্পাদক রফি উদ্দিন খান, যুগ্ম সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম ফটিক প্রমুখ।
এমএ/এএইচ