চট্টগ্রাম নগর ছাড়িয়ে করোনা নিরবে বিষ ছড়াচ্ছে ১৪ উপজেলার গ্রামে গ্রামে

১৪ উপজেলায় শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে, মৃত্যুও বেশি

করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর দিক থেকে চট্টগ্রাম মহানগরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে উপজেলাগুলো। চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় করোনা শনাক্তের হার ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি গত কয়েকদিন উপজেলা পর্যায়ে করোনায় টানা মৃত্যুর সংখ্যাও ছিল বেশি।

অথচ করোনা শনাক্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা এমনটি হলেও উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসাসুবিধা একেবারেই অপ্রতুল। এমনটি করোনার নমুনা পরীক্ষাও হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরের তুলনায় একেবারেই সামান্য।

বুধবার (৬ জুলাই) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিন সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামের সকল উপজেলা মিলিয়ে মোট ৩৮১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২১৩ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। অর্থাৎ উপজেলা পর্যায়ে প্রতি ১০০ নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে ৫৫.৯০ জন। অন্যদিকে একই দিন নগরে ১ হাজার ৫০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯.৭৫ শতাংশ হারে মোট করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৪৪৯টি।

এদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে করোনায় মারা যাওয়া ৯ জনের ৭ জনই বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়।

উপজেলা পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ, শনাক্ত ও মৃত্যুর চিত্র এমন হলেও এখন পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসাসুবিধাসহ সব ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলাই অনেক বেশি পিছিয়ে রয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরে যেখানে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৬০২টি, সেখানে সব উপজেলা মিলিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মোটে ৫৩ হাজার ৬৯টি।

এই বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শহরে মানুষজন যেভাবে আগ্রহ নিয়ে টেস্ট করাচ্ছে গ্রামের মানুষজন সেভাবে করাচ্ছে না।’

পাশাপাশি মৃত্যুর পরিসংখ্যানের বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘মৃত্যুর এই তালিকাটা করতে অনেকে করে কী নগরের স্থায়ী কোনো বাসিন্দা মারা গেলেও তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা লিখে দেয়। তখন তাকে উপজেলা পর্যায়ে হিসেব করা হয়। আসলে সে নগরের। এই বিষয়টা তো অনেক জায়গা থেকে তথ্য এসে জমা হয়। কাজেই সবসময় আলাদা আলাদা করে খুঁজে দেখাও কঠিন হয়ে পড়ে।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!