জামালখানের ‘কিশোর গ্যাং লিডার’ শৈবাল দাশকে পুরস্কৃত করল চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। তার বিরুদ্ধে সিএমপির কোতোয়ালী থানায় একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এরপরও তাকে ছাত্রলীগের সহসম্পাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
শনিবার (১৪ মে) কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পাশাপাশি শৈবাল দাশসহ আরও পাঁচজনকে নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
যদিও ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বলছে, নগর ছাত্রলীগের কমিটিতে কাউকে সংযুক্ত করার ক্ষমতা আছে একমাত্র কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এভাবে কাউকে মহানগর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন না। এটি গঠনতন্ত্র বিরোধী। এই অন্তর্ভুক্তিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ক্ষমতা খর্ব হিসেবে দেখছেন সাবেক নেতারা।
মেয়াদোত্তীর্ণ মহানগর ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সম্মেলন ছাড়া অছাত্র, বিবাহিত, মামলার আসামি, বিতর্কিত ও নিজেদের পছন্দের মানুষ নিয়ে কমিটি করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শৈবাল দাশকে সহসম্পাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করলো ইমু-দস্তগীর।
এর আগে ২২ এপ্রিল জামালখানে দুই কিশোর গ্যাংয়ের বিবাদের জেরে ছুরিকাঘাতে খুন ছাত্রলীগ কর্মী আসকার বিন তারেক (ইভান)। সে ঘটনায় জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত শৈবাল দাশ ও ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাব্বির সাদিকের নাম আলোচনায় আসে কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে।
ইভান হত্যার পর থেকে কিশোর গ্যাং লিডার শৈবাল দাশ পলাতক রয়েছেন। যদিও ইভান হত্যা মামলায় তার নাম নেই বলে জানা গেছে। এছাড়া শৈবালের বিরুদ্ধে সিএমপির কোতোয়ালী থানায় কয়েকটি মামলা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে পুলিশ জানান।
জানা যায়, জামালখানের দুই কিশোর গ্যাং লিডার শৈবাল দাশ ও নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাব্বির সাদিকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হন ছাত্রলীগকর্মী ইভান। ইভান চট্টগ্রাম নগরীর বিএএফ শাহিন কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শৈবাল দাশ নগর ছাত্রলীগের সদস্য সৈকত দাশের ছোট ভাই। সৈকত দাশ, শৈবাল দাশ ও সাব্বির সাদিক এরা কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের অনুসারী।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ইভান হত্যা মামলার আসামি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। তদন্তে যদি হত্যাকাণ্ডে অন্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’
আরএম/ডিজে