চট্টগ্রাম নগরে করোনার থাবা, একদিনেই কেড়ে নিল ৪ প্রাণ

চট্টগ্রাম নগরীতে করোনা বড় ধরণের থাবা লাগিয়েছে। একদিনেই কেড়ে নিয়েছে নগরের চার করোনা রোগীর প্রাণ। করোনা শনাক্তের পর গত সাত মাসের মধ্যেই চট্টগ্রামে এটি সর্বোচ্চ প্রাণহানি। এর আগে গত বছরের ১৪ আগস্ট করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর নিয়মিত মৃত্যু থাকলেও তা কখনো তিনজনের অধিক হয়নি। তবে একই সময়ে করোনা শনাক্ত কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩২ জনে।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৪১ হাজার ৫০০ জনে। এদের মধ্যে করোনা কেড়ে নিয়েছে ৩৯৩ জনের প্রাণ।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া জানান, চারজনের মধ্যে একজন জেনারেল হাসপাতালে, একজন মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে এবং অপর দুজন বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজসহ চট্টগ্রামের পাঁচটি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৩২ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২১৯ জন নগরে এবং বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা ১৩ জন। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৭।

প্রতিবেদন অনুযায়ী চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮৫ জন করোনা শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জন এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জনের জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে।

বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪ জন করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আর কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৪ জনের পরীক্ষায় কারও শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়নি।

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি হাসপাতাল ইম্পেরিয়াল এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!