চট্টগ্রাম নগরেই নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুরের চাষ হচ্ছিল

জব্দ এক টন মাছ গেল এতিমখানায়

চট্টগ্রাম নগরীর একটি মাছের খামারে বাঁশের বেড়ার আড়াল দিয়ে চাষ করা হচ্ছিল আফ্রিকান মাগুর মাছের চাষ। গোপন খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক টন মাছ জব্দ করে তা বিতরণ করে এতিমখানায়। এঘটনায় খামারের মালিককে পাঁচ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়।

নগরীর বাকলিয়া কালামিয়া বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুরের ওই চাষাবাদ হচ্ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলমগীর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মাছের খামারটিতে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে দেশে চাষ নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুরের চাষাবাদ করছেন খামারী। খামারটি জমির মালিকের কাছ থেকে লিজ নিয়ে ইকবাল নামে একজন ব্যক্তি এই মাছ চাষ করে আসছিল। খুব নোংরা পরিবেশে এবং আশেপাশের বাসার ময়লা আবর্জনা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে এই মাছ চাষ করা হচ্ছিল।’

চট্টগ্রাম নগরেই নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুরের চাষ হচ্ছিল 1

তবে অভিযান পরিচালনাকালে জমির মালিক খামারের মালিককে উপস্থিত করতে পারেননি। জমির মালিককে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খামার থেকে প্রায় একটন মাছ জব্দ করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন এতিমখানায় তা বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলমগীর।

অভিযান পরিচালনার সময় জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, দেশীয় মাছ সংরক্ষণে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস, ১৯৮৫ এর কিছু ধারা সংশোধন করে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় আফ্রিকান মাগুর আমদানি, উৎপাদন, বিপণনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞার আলোকে কোনো ব্যক্তি আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, পোনা উৎপাদন, চাষ, বহন, বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না।

আফ্রিকান মাগুরের বৈজ্ঞানিক নাম Clarias Gariepinus. আফ্রিকান মাগুর দেশীয় ছোট মাছসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে স্বল্প সময়ে বড় হয়। এতে দেশীয় বিভিন্ন মাছ বিলুপ্ত হওয়ার শংকা তৈরি হওয়ায় দেশীয় মাছ রক্ষায় সরকার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!