চট্টগ্রাম নগরীর ১১ এলাকায় ১৪ করোনা রোগী, লোহাগাড়ায় একদিনেই তিন

চট্টগ্রাম নগরীতে করোনাভাইরাসের প্রধান পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হল ১৯ জনের শরীরে। এর মধ্যে ১৮ জনই চট্টগ্রামের। আরও স্পষ্ট করে বললে, এর ১৪ জনই চট্টগ্রাম নগরীর। বাকি চারজনের তিনজনই লোহাগাড়ার, অপর একজন সাতকানিয়ার। তবে করোনা নমুনার রিপোর্টের ফল পেতে পেতেই মারা গেলেন নগরীর সাগরিকা শিল্প এলাকায় করোনা শনাক্ত একজন ব্যক্তি। ৬০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম সগির আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) ফৌজদারহাটের বিশেষায়িত হাসপাতাল ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ১৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট ১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রামের বাইরে এতে শনাক্ত হয়েছেন— তিনি নোয়াখালীর বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম মহানগরীর মধ্যে দক্ষিণ নালাপাড়া (বয়স ৩৫), শুলকবহর (বয়স ১০) ও কর্নেলহাট (বয়স ৫৭) এলাকায় এই প্রথম মিলেছে একজন করে নতুন করোনা রোগী। ঈদগাহ এলাকাও এই প্রথম দেখা গেল দুজন রোগী (বয়স ৩৫ ও ৩১)। অন্যদিকে আবার যেসব এলাকায় নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেল, তার মধ্যে রয়েছে— হালিশহর রামপুরা এলাকায় দুজন (বয়স ৫৫ ও ৩৮), এনায়েত বাজারে দুইজন (বয়স ৬০ ও ২৮), রাহাত্তারপুলে একজন (বয়স ১১), পাঁচলাইশে একজন (বয়স ৪০), সাগরিকায় একজন (বয়স ৬০), আকবরশাহ এলাকায় একজন (বয়স ২৪) এবং কোতোয়ালী এলাকায় একজন (বয়স ৪৪)।

দিনের সর্বোচ্চ তিনজন রোগী মিলেছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপজেলা লোহাগাড়ায়। এদের দুজন পুরুষ রোগী— বয়স যথাক্রমে ৩৭ ও ৪৫। অন্যজন পদুয়া এলাকার এক নারী। পাশের সাতকানিয়া উপজেলায়ও আবার পাওয়া গেল ৩৮ বছর বয়সী এক রোগী।

গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম নগরীতে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেল দুই কিশোরের শরীরেও। এদের একজন রাহাত্তারপুল মসজিদ এলাকার ১১ বছর বয়সী এক কিশোর, অন্যজন শুলকবহরের ১০ বছর বয়সী কিশোর। এছাড়া
কোতোয়ালী ও আকবরশাহ এলাকায় যথাক্রমে ৪৪ ও ২৪ বছর বয়সী দুই মহিলার শরীরেও করোনা শনাক্ত হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!