চট্টগ্রাম নগরীতে আবারও করোনার ভয়াল থাবা—৮ মৃত্যু

গত ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামে রেকর্ড ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর পর থেকে ধীরে ধীরে কমতে থাকে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। এমনকি আগেরদিন (১৫ এপ্রিল) করোনায় মৃত্যুর তালিকায় ছিল না কোন রোগী। চট্টগ্রামের জন্য স্বস্তিকর বিষয়টি টিকেনি ২৪ ঘণ্টাও। গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও স্বরূপে ফিরেছে করোনা। এক নিমিষেই কেড়ে নিয়েছে ৮ জনের প্রাণ। এদের সবাই নগরের বাসিন্দা। এই সময়ে নতুনভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩০৫ জন।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৩৮০ জন। মোট আক্রান্ত ৪৬ হাজার ৩৮০ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৩৭ হাজার ২১৫ জন আর নগরীর ৯ হাজার ১৬৫ জন। আর মারা যাওয়া ৪৪৫ জনের মধ্যে নগরীর ৩২৯ জন আর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ১১৬ জন রয়েছেন।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামের আটটি ল্যাবের মধ্যে চারটি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়। তাতে এক হাজার ১৪২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৩০৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ২৭১ জন এবং উপজেলায় ৩৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয় ৯০ জনের।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১১৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা পজিটিভ আসে ৩৮ জনের।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

বেসরকারি শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৪৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ১৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

এদিন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের কারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!