চট্টগ্রাম থেকে বিদেশে লোক যাচ্ছে তুলনামূলক অনেক কম। অথচ ২০২০ সালে তৃতীয় বৃহত্তম অভিবাসী প্রেরণকারী জেলা ছিল চট্টগ্রাম। সেই চট্টগ্রামই তালিকায় নেমে এসেছে নয় নম্বরে। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে বেসরকারি সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (আরএমএমআরইউ) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ থেকে ৯৪ শতাংশ কর্মীই গেছেন সৌদি আরব ও ওমানে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৬ শতাংশ গেছেন সৌদি আরবে। চলতি বছর বিভিন্ন দেশে পাঠানো অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে রয়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি কর্মী নারী। নারী শ্রমিকদের ৬৮ শতাংশ গেছেন সৌদি আরবে। দেখা গেছে, ২০২১ সালে প্রায় সব কর্মীই গেছেন ‘ফ্রি ভিসা’ বা আত্মীয়দের মাধ্যমে। কাজের সুযোগ তৈরি করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ভিসা আনতে পারেননি।
২০২১ সালে কুমিল্লা থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ গেছে বিদেশে— যার হার ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় সামান্য বেশি। মোট অভিবাসনের ৮ শতাংশই গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে। ৪ দশমিক ৫ শতাংশ ঘটে চাঁদপুর থেকে। টাঙ্গাইল, নরসিংদী এবং কিশোরগঞ্জ থেকে যথাক্রমে ৪ দশমিক ১১ শতাংশ, ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কর্মী অভিবাসী হয়েছেন।
২০২০ সালে তৃতীয় বৃহত্তম অভিবাসী প্রেরণকারী জেলা ছিল চট্টগ্রাম (৫.২৬ শতাংশ)। তবে ২০২১ সালে চট্টগ্রাম থেকে মাত্র ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ অভিবাসন ঘটেছে। ফলে চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান নেমে গেছে নয় নম্বরে। এছাড়া সিলেট, ফরিদপুর এবং মুন্সীগঞ্জ থেকে যথাক্রমে ২.৬৭ শতাংশ, ২.৫৬ শতাংশ এবং ২.৫০ শতাংশ অভিবাসনের প্রবাহ ছিল।
২০২১ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪ লাখ ১৭ হাজার ৩১৪ জন এবং নারী শ্রমিক ৬৮ হাজার ৫৭৯ জন।
দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ১০টি জেলা থেকেই ৫০ শতাংশ শ্রমিক বিদেশে গেছেন। জেলা ১০টি হলো কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও লক্ষ্মীপুর। এর মধ্যে কুমিল্লা থেকেই সর্বোচ্চ সংখ্যক শ্রমিক বিদেশে গেছেন।
সিপি