চট্টগ্রাম থেকে পানিপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার টোপ, দুই ভাইয়ের চক্র

চট্টগ্রাম থেকে পানি পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার টোপ ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার একটি চক্রের খোঁজ মিলেছে ঢাকায়। এর সঙ্গে জড়িত বুয়েটের এক কর্মকর্তা ও তার ভাই।

ঢাকা বুয়েটের রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদ আলমের ভাই মাহবুব আলম শাহীন পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে যশোরের শিক্ষক সুমাইয়া সুলতানাকে জানান, তার ভাই মালয়েশিয়ার হাসপাতালে ভালো বেতনে চাকরি দিয়ে লোক পাঠাচ্ছেন।

অভিযুক্ত শাহীন শিক্ষিকা সুমাইয়ার বাবা মিলন বিশ্বাসকে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তাব দেন। সুমাইয়া সুলতানা তাদের কথায় রাজি হয়ে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৮০ হাজার ও ৩ সেপ্টেম্বর ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা শাহীনের ভাই মাহমুদ আলমের বুয়েট সোনালী ব্যাংক শাখার একাউন্টে জমা দেন।

এরপর মাহমুদ আলম ও তার ভাই শাহীন মিলে যশোরের ঝিকরগাছার ঘোড়াদাহ গ্রামের মিলন বিশ্বাসকে প্রথমে ঢাকায় এবং এরপর চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। অভিযুক্ত শাহীন মিলন বিশ্বাসকে চট্টগ্রামে এনে অবৈধভাবে পানি পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা জানান। মিলন বিশ্বাস পানি পথে যেতে রাজি না হওয়ায় শাহীন তাকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে মিলন বিশ্বাস চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যশোরের বাড়িতে ফিরে যান। এরপর প্রতারক দুই ভাইয়ের নেওয়া তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা ফেরত চাওয়া হলে তারা টালবাহানা করতে থাকেন। গত ৮ জানুয়ারি যশোর শহরের বারান্দীপাড়া লিচুতলার ফেরদৌস হোসেন বাড়িতে শালিস বৈঠকে প্রতারক দুই ভাই টাকা দিতে অস্বীকার করে চলে যান।

এরপর সোমবার (১৮ জানুয়ারি) মিলন বিশ্বাসের মেয়ে শিক্ষক সুমাইয়া সুলতানা বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন।

এতে ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানার নাঙ্গুলী গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে ঢাকা বুয়েটের রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদ আলম ও তার ভাই মাহবুব আলম শাহীনকে আসামি করা হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!