চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ যাবে স্লোভেনিয়ায়, রপ্তানিতে সময় বাঁচবে ১০ দিন

রপ্তানি চালান যথাযথ আমদানিকারকের কাছে পৌঁছাতে প্রতিটিই সেকেন্ডই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় একঘণ্টার ব্যবধানেও পণ্য চালান ফ্লাইটে পৌঁছে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে ইউরোপে পণ্য চালান পৌঁছাতে ১০ দিন সময় পাওয়াটা অনেক বড় কিছু। একইসঙ্গে সময়ের সঙ্গে বাঁচবে অর্থও। বায়ারের সঙ্গে কমিটমেন্টও রক্ষা হবে। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে বায়াররা আরও বেশি অর্ডার করবে বাংলাদেশে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে এর সুফল পড়বে।

সরাসরি পণ্য চালানের বিষয়টি তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। এতে খুশি রপ্তানিকারক থেকে শুরু করে ফ্রেইড, শিপিং লাইন, শিপিং এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টরা।

কয়েকজন শিল্প মালিক জানান, ইউরোপে জাহাজে করে পণ্যের চালান পৌঁছতে ৩৫ থেকে ৪০ দিন সময় লাগে। নিতে হয় ট্রান্সশিপমেন্ট। সেখানে স্লোভেনিয়া হয়ে ইউরোপ গেলে ১০ দিন সময় বাঁচবে। অর্থাৎ তখন ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যেই চালান পৌঁছবে বায়ারের হাতে। যদিও স্লোভেনিয়াও ট্রান্সশিপমেন্ট নিতে হবে অন্যান্য দেশে পৌঁছাতে। এরপরও হাতে সময় বেঁচে যাচ্ছে ৭ থেকে ১০ দিন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর থেকে স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারে সরাসরি কন্টেইনার জাহাজ যাবে। এতে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে গার্মেন্ট শিল্প আরও এগিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আমন্ত্রণে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নভুক্ত দেশ স্লোভেনিয়ার পোর্ট অব কোপারের প্রতিনিধি দল বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিনিধি দলটি বন্দরের জেটিতে বিভিন্ন অপারেশনাল কাজ ঘুরে দেখেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগে ইউরোপে পণ্যের চালান পাঠানোর জন্য কলম্বো ও সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ার বন্দরে ট্রান্সশিপমেন্ট নিতে হতো। এজন্য তিন থেকে চারদিন অতিরিক্ত সময় নষ্ট হয়। এছাড়া ট্রান্সশিপমেন্ট ধরতে আরও দুই তিন আগে প্রস্তুতি নিতে হয় রপ্তানিকারকদের।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘স্লোভেনিয়া বন্দরে দিয়ে ইউরোপে পণ্য চালান পৌঁছাতে ৭ থেকে ১০ দিন বাঁচবে। এটি আমাদের জন্য বড় পাওয়া। এতে বায়াররা অর্ডার বেশি দিবেন বাংলাদেশে। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ।’
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘ব্যবসা হলো কমিটমেন্টের ওপর। সরাসরি জাহাজ চললে কমিটমেন্ট রক্ষা হয়, সময় বাঁচে, সঙ্গে অর্থও বাঁচে। এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ।’

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!