চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার দুই কিশোরী বাড়ি ছেড়েছিল গার্মেন্টে কাজ করতে

পরিবারকে না জানিয়ে চট্টগ্রামের গার্মেন্টসে কাজ করতে এসেছিলেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থেকে নিখোঁজ নাজমা আক্তার (১৫) ও পপি আক্তার (১৫) নামের দুই কিশোরী।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে কমলনগর থানা পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকার একটি বাসা থেকে নাজমা ও পপিকে উদ্ধার করা হয়। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। নাজমা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সিডু মাঝির বাড়ি শামছুল হকের মেয়ে ও পপি একই বাড়ির নুরুল হকের মেয়ে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার (১৮ অক্টোবর) ভোরে বাড়ি থেকে কাউকে না জানিয়ে নাজমা ও পপি বের হয়ে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিবারের অন্যান্যরা তাদেরকে খুঁজে পায়নি। পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে কমলনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম গিয়ে তারা একটি মোবাইল ও সিম কিনে বাড়িতে ফোন করে। তখন তারা বাড়িতে জানায়, গার্মেন্টসে কাজ করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছে তারা। সেখানেই তারা কাজ করবে। তারা নিরাপদে আছে। পরিবার থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। পরে শুক্রবার রাতে তাদেরকে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করে।

নাজমা আক্তারের ভাই মো. সবুজ বলেন, একটি মোবাইল নম্বর থেকে নাজমা ও পপি আমাদের সঙ্গে কথা বলে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে।

তিনি বলেন, নাজমা এবং পপি থানায় পুলিশের কাছে কোন কিছু খুলে বলেনি। কিন্তু বাড়িতে আসার পর তারা জানিয়েছে- বাড়ির পাশের হালিমা নামে এক মেয়ের প্ররোচনায় তারা চট্টগ্রাম যায়। সকাল ৯টার দিকে হালিমা তাদের দুজনকে লক্ষ্মীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায়। সেখানে ওই দুজনকে অপরিচিত এক পুরুষ ও এক নারীর হাতে তুলে দেয়। তাদের দুজনকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে আমার ধারণা।

সবুজ বলেন, হালিমা নামের ওই মেয়েটি আগে চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতো। এখন সে বাড়িতেই থাকে।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, কিশোরীদেরকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গার্মেন্টে কাজ করবে বলে কাউকে না জানিয়ে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারা নিজেরাই মোবাইলে বাড়িতে যোগাযোগ করে। পরে নম্বরের সূত্র ধরে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!