চট্টগ্রাম-ঢাকার ৩৫ স্কুলের শিশুরা অনলাইনে শিখছে কম্পিউটারের ভাষা

করোনার এই অসহনীয় পরিবেশে শিশুদের প্রযুক্তি দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ‘ই-স্কুল অব লাইফ’। এই মহামারিকালেও শিশুরা যেন ঘরে বসে প্রযুক্তি শিক্ষার আনন্দ নিতে পারে ও ভবিষ্যতে একজন দক্ষ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সেদিকটা লক্ষ্য রেখে প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেছে শিশুদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের আওতায় তারা শিশুদের উপযোগী করে কোডিং ও প্রোগ্রামিংসহ কম্পিউটারের বেসিক বিষয়গুলো শিক্ষা দেবে।

ই-স্কুল অব লাইফ গ্লোবাল লার্নিং ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এই ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের আয়োজন করেছে।

গত ১ জুলাই থেকে ই-স্কুল অব লাইফ এর উদ্যোগে ভার্চুয়ালি কোডিং শিক্ষার কোর্স শুরু হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের প্রায় ৩৫টি স্কুল-কলেজ থেকে ৮ থেকে ১৭ বছর বয়সী মোট ৯০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, সানিডেল, সানবিমস, ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুল, এসএফএক্স গ্রিন হেরাল্ড স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ওয়ার্ডব্রিজ স্কুল, বিআইটি, স্যার জনসন উইলসন স্কুল, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার, সেন্ট জোসেফ, গ্রিন ডেল, সাউথ ব্রিজ, অ্যাপল ট্রি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, আদমজি ক্যান্ট পাবলিক স্কুল, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আইডিয়াল স্কুল, এক্সসেল একাডেমি, প্লেপ্যান স্কুল, বিয়াম মডেল স্কুল, তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাইলস্টোন স্কুল, কর্ডোভা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বনশ্রী আদর্শ বিদ্যানিকেতন, ইন্ডিয়ান স্কুল সালালাহ ওমান এবং চিটাগং গ্রামার স্কুল।

কোডিং হচ্ছে মূলত কম্পিউটারের ভাষা— যার মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করা যায়। এককথায় আমরা যেসব প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করি তা কোডিংয়ের মাধ্যমেই চলে।

শিশুরা কম্পিউটার বিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা পাবে। কোডিংয়ের হাতেখড়ির মাধ্যমে এর মৌলিক ধারণার সাথে পরিচিত হতে পারবে ও বেসিক অ্যানিমেশান করতে সমর্থ হবে। এভাবে কোডিংয়ের মাধ্যমে তারা একসময় কম্পিউটার গেমও তৈরি করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও শিশুরা নিজেদের পোর্টফোলিও ইত্যাদি তৈরি করতে পারবে।

সর্বোপরি কোডিংয়ের পরবর্তী অ্যাডভান্সড লেভেলের কোর্স করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ হয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট লেভেলে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই নিজের টিউশন ফি নিজে আয় করতে পারবে।

এক মাসব্যাপী এই স্ক্র্যাচ/ক্রাশ কোর্সের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এর সম্পূর্ণ নির্দেশনা অনুসরণ করে। ১২টি অনলাইন লাইভ ইন্টারেক্টিভ (সরাসরি অনলাইন মিথস্ক্রিয়ামূলক) ক্লাসে কোডিংয়ের এই মৌলিক কোর্সটি আগামী ২ আগস্ট সম্পন্ন হবে। কোর্স শেষে প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থীকে সনদ দেওয়া হবে। তাছাড়া প্রতিটি অংশগ্রহণকারীকে বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে প্রজেক্ট দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতার মূল্যায়ন করা হবে।

কোডিং কোর্সটির প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) এর কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের প্রভাষক রোমাসা কাসেম।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!