চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উদযাপন

মানবশরীরের নীরব এক ঘাতকের নাম উচ্চ রক্তচাপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতি চারজনে একজন ভুগছেন উচ্চ রক্তচাপে। দেশে প্রায় ৮৯ হাজার ৪০০ রেজিস্ট্রার্ড হাইপারটেনশনের রোগী আছে। এর বাইরেও অসংখ্য রোগী উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।

ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লিগের (ডাব্লিউএইচএল) সদস্য হিসেবে হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, ২০০৬ সাল থেকে ১৭ মে দিবসটি পালন করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালেও দিবসটি পালন করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সকাল থেকে এ দিবসকে ঘিরে নানা উদ্যোগ নেয় জেনারেল হাসপাতাল। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীদের নিয়ে সাইন্টিফিক সেমিনার, আলোচনা সভা ও র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

দিবসটিকে ঘিরে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন।’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সাইন্টিফিক সেমিনারে হাইপারটেনশন ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ একরাম হোসেন।

এরপরে আলোচনা সভায় কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সাইফুল ইসলাম টিপু চৌধরীর সঞ্চলনায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আব্দুর রব, কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আবুল হোসেন শাহীন, অর্থোপেডিকস বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. অজয় দাস, গাইনী এন্ড অবস্ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রওশন আরা শিমুল ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা সঠিকভাবে রক্তচাপ নির্ণয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, পরিমিত খাদ্যবভ্যাস ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপনের উপর জোর দেন।

সভাপতির বক্তব্যে তত্ত্ববধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি জনগনের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনতীয়তা ব্যক্ত করেন। সেই সাথে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সচেতন হতে বলেন।

মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আব্দর রব বলেন, নিয়মিত হাঁটা, নিয়ন্ত্রিত খাদ্য গ্রহন, ধুমপান বর্জনের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আবুল হোসেন শাহীন বলেন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যে অতিরিক্ত লবণের ব্যবহার কমাতে হবে এবং দৈনন্দিন কমপক্ষে একটা করে মৌসুমি ফল খেতে হবে এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।

আইএমই/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!