চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪১০ যাত্রী নিয়ে শুরু হয়েছে হজের প্রথম ফ্লাইট। রোববার (৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৩২০৯ বিমানটি নির্ধারিত সময়ে উড্ডয়ন করে। এই ফ্লাইটে ৪১৯ যাত্রী যাওয়ার কথা থাকলেও নয়জন অনুপস্থিত ছিলেন।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ উল্লাহ বাবলু জানান, নির্ধারিত সময় বিকাল সাড়ে চারটায় ফ্লাইট উড্ডয়ন করেছে। হজ যাত্রীদের সুবিধার্থে হজ টাস্কফোর্স সেল গঠন করা হয়েছে। হাজযাত্রীদের সুবিধার্থে বিমানবন্দর এলাকায় একজনের সাথে দুইজন দর্শনার্থী আসতে দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম থেকে দশ হাজার হজ যাত্রী যাবে বলে জানান মোহাম্মদ উল্লাহ।
হজ ফ্লাইটের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন হজ যাত্রীরা। সরকারের উচ্চ পর্য়ায়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় ইমিগ্রেশন থেকে শুরু করে সকল প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। ঢাকার মত চট্টগ্রামেও জেদ্দা এরাইভ্যাল ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা করলে হজ যাত্রীদের সুবিধা হতো।
একই কথা জানালেন আরেক হজ যাত্রী মো মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান। ঢাকায় সৌদি বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে এখানে যাবেনা কেন? এতে অন্তত দীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তির পর সেখানে ইমিগ্রেশন ঝামেলা এড়ানো যেত!
এ বিষয়ে বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আগামি বছর থেকে সৌদি এরাইভ্যাল ইমিগ্রেশন সুবিধা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরেও নিশ্চিত করা হবে।
এসসি/এসএস