চট্টগ্রাম ক্লাবে প্রাচীন গাছ কাটা হচ্ছে সীমানাপ্রাচীরের জন্য

মুখে পরিবেশ রক্ষার কথা বলা হলেও চট্টগ্রাম নগরীতে বরং সুযোগ পেলেই চলছে বৃক্ষনিধন। সাম্প্রতিক সময়ে টাইগারপাস এলাকায় শতবর্ষী বৃক্ষনিধন নিয়ে নানা বিতর্কের পর পতেঙ্গা এলাকায়ও সরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে বৃক্ষনিধন নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এর রেশ শেষ না হতেই বৃক্ষনিধনের মিছিলে শামিল হলো ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম ক্লাব।

সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ সড়কে চট্টগ্রাম ক্লাবের প্রবেশ গেইটের বাম পাশে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। দেয়াল তৈরির জন্য কাটা হচ্ছে প্রাচীন একটি বৃক্ষ। ওই পথে হাঁটার সময় যা সবারই নজরে আসছে। কারণ প্রাচীন বৃক্ষটির ছায়াশীতল পরিবেশটা এখন আর নেই। অনেকটা রুক্ষ্ম একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে এরই মধ্যে।

এ ব্যাপারে পরিবেশবিদ ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিকান্দার খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গাছটি রেখেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা যেতো। কর্তৃপক্ষের উচিত হয়নি প্রাচীন বৃক্ষ কেটে ফেলা। এভাবে এক এক করে বৃক্ষ উজাড় হলে এই নগর পরিবেশগত ভারসাম্য হারাবে। ধীরে ধীরে বসবাস অযোগ্য হয়ে উঠবে।

পথচারী ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী সঞ্জয় দাস বলেন, ‘আগ্রাবাদ থেকে গাড়িতে লালখান বাজার নেমে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম পর্যন্ত বাকিপথ হেঁটে যাই। ছায়া-সুনিবিড় এই পথটি এখন উদোম হয়ে গেলো! ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরের জন্য এভাবে অর্ধশত কিংবা তারও বেশী বয়সী গাছটি কাটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।’

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতির (বেলা) চট্টগ্রামের ইনচার্জ তমিজ উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম ক্লাব একটি অভিজাত ক্লাব। শহরের নামি-দামি ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান এটি। উনাদের কাছে তাই প্রত্যাশাও আমাদের অনেক বড়। গাছটি রেখেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।’

চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে জায়গার মালিক। মানে চট্টগ্রাম ক্লাব যাদের কাছ থেকে জায়গাটি লিজ নিয়েছে। উনারাই গাছটি কাটছেন। এর সাথে চট্টগ্রাম ক্লাবের কোন সম্পৃক্ততা নেই।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!