চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সিএন্ডএফ এজেন্টদের দুই দিনের কর্মবিরতি শুরু

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে দুইদিনের কর্মবিরতি পালন করছে চট্টগ্রাম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস এসোসিয়েশন।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় এই কর্মসূচি।

কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এবং পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস (হারমোনাইজড সিস্টেম কোড) এবং সিপিসি (কাস্টমস প্রসিডিউর কোড) নির্ধারণে প্রণীত আইন বাতিলের দাবিতে একযোগে দেশের সব শুল্ক স্টেশনে এই কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আহবানে চট্টগ্রামেও এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

কর্মসূচীর কারণে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে বন্ধ রয়েছে শুল্কায়ন কার্যক্রম। বিল অব এন্ট্রি, বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল, শুল্ক পরিশোধ সংক্রান্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়েছি আমরা। আজ এবং আগামীকাল সারাদিন আমদানি রপ্তানি পণ্য চালানের শুল্কায়ন সংক্রান্ত সিএন্ডএফ এজেন্টদের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সারা দেশের সব শুল্ক স্টেশনের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও আমরা দুইদিন পূর্ণ দিবস এই কর্মসূচী পালন করছি।’

এর আগে গত ১৮ মে সিএন্ডএফ এজেন্টদের লাইসেন্স নবায়নের দাবিতে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে সিএন্ডএফ এজেন্টরা। চট্টগ্রাম কাস্টমসে সিএন্ডএফ এজেন্টদের প্রায় ৩ হাজার লাইসেন্স আছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে প্রতিদিন ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি এবং বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়। এর মধ্যে আমদানির পণ্যের জন্য ২ হাজার বিল এব এন্ট্রি এবং রপ্তানির পণ্যের জন্য ৫ হাজার বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করা হয়।

এছাড়া দৈনিক প্রায় দেড়শ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে কাস্টম হাউস।

এমএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!