‘চট্টগ্রাম কাস্টমস’ পণ্য খালাসের সময় বেঁধে দিল ৩০ দিন

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস থেকে আগে দেড় মাসের মধ্যে আমদানি পণ্য খালাস নেওয়ার বিধান থাকলেও এখন থেকে এক মাসের মধ্যে বা ত্রিশ দিনের মধ্যে তা খালাস নিতে হবে। এছাড়া বিমানবন্দর দিয়ে কোন পণ্য চালান আনা হলে তা ২১ দিনের মধ্যে খালাস করতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি আদেশের চিঠি সকল সিএন্ডএফ ও বন্দর ব্যবহারকারি সংস্থার কাছে পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা করা হয়, কাস্টমস আইনের এ্যাক্ট ১৯৬৯ সেকশন ৮২ এর সাব-সেকশন-১ এর ধারা মতে, কাস্টমস হাউস অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়সীমার মধ্যে শুল্ক-কর পরিশোধ করে পণ্য চালান খালাস নিতে হবে। অন্যথায় এ চালান নিলাম যোগ্য বলে গণ্য করা হবে।

এই আইন লঙ্ঘনের অপরাধে জরিমানা ও পোর্ট চার্জ পরিহারের জন্য পণ্য চালান দ্রুত খালাস নিতে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টের নিকট অনুরোধ জানানো হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, যে কোন পণ্য চালান যত দ্রুত খালাস নেওয়া যায় তত সকলের জন্য মঙ্গল। কারণ কোন ব্যবসায়ী পণ্য বিদেশ থেকে ক্রয় করেন নিজের প্রয়োজনে। কিন্তু সেটি দিনের পর দিন বন্দরের ইয়ার্ডে রেখে দেওয়া উচিত নয়। তাই দ্রুত খালাস নেওয়ার জন্য আমরা তাগাদা দিয়েছি।

এদিকে, আগে পণ্য চালান ৪৫ দিনের মধ্যে খালাস নেওয়ার নিয়ম ছিল। বিমান বন্দরে নিয়ম ছিল ৩০ দিনের। তা পরিবর্তন করে এখন ৩০ দিনের মধ্যে চালান খালাস করতে অনুরোধ জানান কমিশনার। গত সপ্তাহে অর্থাৎ ৭ জুন এ সংক্রান্ত আদেশের চিঠি পাঠানো হয়েছে।

ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়াডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বলেন, কোন একটা পণ্য চালানে দীর্ঘ সূত্রিতা হতে পারে, যেমন ফাইল যদি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে যায় তখন সময় লেগে যায়। আবার ল্যাব পরীক্ষা, বিএসটিআই পরীক্ষা, নানা ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষার কারণে সময় লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমদানিকারক বা সিএন্ডএফকে কোন জরিমানা গুণতে হবে না।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!