চট্টগ্রাম কারাগারের বরখাস্ত জেলারের শ্যালকের একাউন্টে বিপুল টাকা, মামলায় গেল দুদক

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের বরখাস্ত হওয়া জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের শ্যালক রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে ৫৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেছে চট্টগ্রামের দুদক।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বরখাস্ত হওয়া জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসের শ্যালক রাকিবুল হাসান তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে ৫৪ লাখ টাকার হিসেব দেখাতে পারেননি।

এছাড়া তার দুটি ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৬১ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়, যার উৎসও তিনি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ধরনের একাধিক অভিযোগ এনে দুদক আইনে রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক জেলার মো. সোহেল রানা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোহেল রানা বিশ্বাস ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। সেই সম্পদ বিবরণীতে ৪০ লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস থেকে নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার অবৈধ টাকা ও ফেনসিডিল’সহ সোহেল রানাকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশ। ওই সময় তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ছিলেন।

ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া গ্রামের জিন্নাত আলী বিশ্বাসের ছেলে সোহেল রানার কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক ও তার স্ত্রীর নামে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর সংক্রান্ত নথিও উদ্ধারের কথাও জানানো হয়। তখন সোহেল রানার বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানার এসআই মো. আশ্রাফ উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে মাদক ও অর্থপাচার আইনে দুটি মামলা করেন। এ ঘটনার পর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!