চট্টগ্রাম কারাগারেও বসেছে থার্মাল স্ক্যানার

কারাগারকে সুরক্ষার জন্য বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। করোনাভাইরাস যেন ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে বসানো হয়েছে এ স্ক্যানারটি। এতে অতিরিক্ত জ্বর থাকলে বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ থাকলে তা ধরা পড়বে।

বুধবার (১৮ মার্চ) বসানো হয়েছে এ থার্মাল স্ক্যানার। কারা হাসপাতালের চিকিৎসক শামীম রেজার তত্ত্বাবধানে একটি টিম কাজ করছেন।

শামীম রেজা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বসানো হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। আদালত থেকে আসা আসামিদের থার্মাল স্ক্যানারে চেক করে ঢোকানো হচ্ছে কারাগারে। থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা ছাড়াও আসামিদের মধ্যে কেউ গত ১৪ দিনের ভেতর বিদেশ ভ্রমণ করেছিলেন কী না, আসামির স্বজনদের মধ্যে কেউ বিদেশ ভ্রমণ করেছিলেন কী না এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।

কারাগারে ভেতরে একটি ভবন খালি করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনের জন্য। এছাড়া কারা হাসপাতালে আইসোলেশনের জন্য ওয়ার্ড প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। আসামিরা হাত মুখ ধোয়ার পর ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান ডা. শামীম রেজা।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, কারও জ্বর বা করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে তাকে প্রথামিকভাবে কারাগারে ভেতরেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় প্রস্তুতি হিসেবে কোয়ারেন্টাইনের জন্য কারাগারের ভেতরে একটি ভবন খালি করে প্রস্তুত করা হয়েছে। কারা হাসপাতালে আইসোলেশনের জন্য ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এর আগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!