নিজেদের গ্রুপের কর্মী সংগ্রহ করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক গ্রুপের অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষ থেকে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
সংঘর্ষে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোছাম্মৎ নাজমা বেগমের কক্ষটিও ভাংচুর করেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সকালে কলেজের ইতিহাস বিভাগে কর্মী সংগ্রহের জন্য জুনিয়রদের কাছে যান কলেজটির ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারীরা। এ সময় সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীরার একই সময়ে ইতিহাস বিভাগে কর্মী সংগ্রহ করছিলেন।
এমন সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষেই ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন, গনিত বিভাগের অর্নাস শেষ বর্ষের ছাত্র সাফায়েত হোসেন রাজু ও অর্ণব দেব, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোস্তফা আমান, ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের মেহেরাজ হোসেন পাভেল ও দ্বাদশ শ্রেনীর রাফসান ও জিসান। তারা প্রত্যকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারী।
অন্যদিকে সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীদের মধ্যে জিয়া উদ্দীন আরমানসহ মোট ৪ কর্মী আহত হওয়ার দাবী করেন সবুজ।
ঘটনার পর কলেজে অবস্থান নেয় চকবাজার থানা পুলিশ। এ সময় উভয় গ্রুপের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের মজুমদার বলেন, ‘কর্মী সংগ্রহ করতে গিয়ে সভাপতি-সাধারন সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, ‘কলেজে সিনিয়র-জুনিয়রের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। গ্রুপ পর্যায়ের কোন ঘটনা নয়। কেউ হতাহতও হয়নি। এখন ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে।’
অন্যদিকে সাধারন সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, ‘সকালে ইতিহাস বিভাগের ক্লাসে গেলে মাহমুদের সমর্থকরা আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করে৷ এতে মাথা ফেটে যায় কয়েকজনের।’ এ ঘটনায় নিজের চার কর্মী আহত হওয়ার কথাও জানান সবুজ।
বিএস/এমএফও