অদক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও অনিয়ম রোধ করা গেলে পানির মূল্য বৃদ্ধি প্রয়োজন পড়ে না, দাম বাড়ানোর আগে সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি বলে জানিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির পরামর্শে দ্বিমত জানিয়েছে ক্যাব। অন্যদিকে অব্যবস্থাপনা ও বিড়ম্বনা রোধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম ওয়াসার সকল কার্যক্রম অটোমেশনের (স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি) আওতায় আনার যে নির্দেশ দিয়েছেন সেটিকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব)।
সংগঠনের নেতারা মন্ত্রী ও সচিবের পানির দাম বাড়ানোর পরামর্শের বিরোধিতা করে এটিকে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
এ বিষয়ে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, অদক্ষ প্রশাসন, স্বজন-প্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ ও গ্রাহক স্বার্থকে উপেক্ষা করার কারণে প্রতিষ্ঠার ৫৬ বছরেও চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরবাসীর চাহিদা পুরণে ব্যর্থ। ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর বর্তমান সরকারের দশ বছরে ১৩ হাজার কোটি টাকার সর্বোচ্চ উন্নয়ন বরাদ্দ পেলেও গতিশীলতা আসেনি। ২৫ মে ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত ওয়াসার ৫১তম সভায় বলা হয় গড়বিল আদায়ের কারণে ২৭ হাজার গ্রাহক ৫ ইউনিট পানি ব্যবহার করে ৩০ ইউনিটের বিল দিচ্ছেন। হিসাব শাখার এ চাঞ্চল্যকর তথ্য উপস্থাপন হলে ওয়াসার বোর্ড সদস্য জাফর সাদেককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। নানাবিধ অনিয়ম, গড় বিল আদায়ের মতো পুকুর চুরি, পানির দৈনিক উৎপাদন নিয়ে হেরফের, ডাটাবেস ছাড়াই উৎপাদন খরচ নির্ধারণ ও বিতরণে শুভংকরের ফাঁকির মতো ঘটনাগুলি উদঘাটনে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ক্যাব।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ আরো জানান, ক্যাব দীর্ঘদিন ধরেই গড় বিল আদায়, বিল আদায়ে নানা অনিয়ম তুলে ধরে আসলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কোন কর্ণপাত করেনি। এদিকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বেই পানির দাম বাড়ানোর কথা বলে তদন্ত কমিটির কাজ ভিন্নখাতে নিতে পাঁয়তারা করছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান।
এসএস