চট্টগ্রাম আদালতে ডিবির সোর্স পরিচয়ে আটক সুমি গুপ্তচর!

চট্টগ্রাম আদালতে ডিবির সোর্স পরিচয়ে আটক সুমি গুপ্তচর! 1আদালত প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম আদালত থেকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সোর্স পরিচয়দানকারী ফরিদা ইয়াসমিন সুমি (৩৫) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে এ প্রতারক মহিলাকে আটক করার পর তার চলাফেরা, জীবন যাত্রা, আচার আচরণ রহস্যজনক বলে মন্তব্য করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

ডিবির সোর্স হিসেবে ভিজিটিং কার্ড বানিয়েছে সুমি, যেটা সম্পূর্ণ অন্যায়। এই কার্ড ব্যবহার করে আদালতে সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের বিভ্রান্ত করে সুমি টাকাপয়সা হাতিয়ে নিত। আইনজীবীরা হাতনাতে ধরে তাকে থানায় দিয়েছেন বলে জানিয়ে কোতয়ালী থানার ডিউটি অফিসার এএসআই খালেদা নাসরিন।

চট্টগ্রাম আদালতে দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা সংস্থার মাঠ পর্যায়ের সদস্য গনমাধ্যমকে জানান, এ নারী আদালত এলাকায় এবং পুলিশের বিভিন্ন থানায় ঘুর ঘুর করে। পুলিশ সোর্স পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। সে বাংলাদেশের নাগরিক না হলেও চট্টগ্রামের ভাষা রপ্ত করেছে। নাম পরিচয় পাল্টিয়ে সে অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশ সোর্স পরিচয়ে সে মায়ানমার গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছে। তার ব্যাপারে গভীর ভাবে তদন্ত হওয়া দরকার।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, আজ দুপুরে আদালত এলাকায় বিভিন্ন আসামীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং হাজতখানায় সুযোগ সুবিধার কথা বলে টাকা আসায় এবং প্রকাশ্যে ধূমপানকালে নিষেধ করায় একজন নারী আইনজীবির সাথে অসাধাচরণ করায় আইনজীবি সমিতির নেতারা ফরিদা ইয়াসমিন সুমি নামে এ মহিলাকে পুলিশে দিয়েছে। তার কাছে ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয়। তার বিরুদ্ধে নগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জসিম জানান, এ নারী জন্ম সূত্রে বাংলাদেশী না ভিনদেশী তা তদন্ত করে দেখা হবে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ জানান, ডিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে নারী আদালত এলাকায় আসামীদের স্বজনদের জিম্মি করে টাকা আদায় করতো। তার সাথে কিছু পুলিশের সম্পর্ক রয়েছে। টাউট-প্রতারক উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এ এ এম হুমায়ুন কবির বলেন, ডিবির সোর্স এই পরিচয়ে ভিজিটিং কার্ড বানানোর কোন সুযোগ নেই। ডিবির নাম ভাঙ্গিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অন্যায় কাজে জড়িতদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। শীঘ্রই আমরাও তাদের বিরুদ্ধে অভিযান করব।

সুমির কাছ থেকে উদ্ধার করা ভিজিটিং কার্ডে সে নিজেকে লালখান বাজার পুলিশ ও ডিবি সোর্স হিসেবে উল্লেখ করেছে। তার বাবা মরহুম আমির হোসেন সওদাগর এবং মা আছমা বেগমের নামও ভিজিটিং কার্ডে লেখা আছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!