চট্টগ্রামে ৭৫ টাকার মাস্কের প্যাকেট এখন ৯৮০ টাকা!

করোনা ভাইরাসের হুজুগ

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে মাস্কের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ৭৫ টাকা মূল্যের এক প্যাকেট মাস্ক এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৮০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কম, তাই দামও বাড়তি।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে আতঙ্কিত সারা বিশ্ব। এই নভেল করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে কেড়ে নিয়েছে চীনের ৪২৫ জনের প্রাণ এবং এ রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ লোকই রাস্তায় বের হলে মাস্ক ব্যবহার করেন। বিশেষ করে স্যার্জিক্যাল মাস্কের ব্যবহারই বেশি। যোগান নেই— এই অজুহাতে ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভের আশায় মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে এক প্যাকেট স্যার্জিক্যাল মাস্ক বিক্রি হতো ৭০ থেকে ৮৫ টাকায়। কিন্তু বর্তমানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই সার্জিক্যাল মাস্ক নগরীর গোলাম রসুল মার্কেটে প্যাকেট প্রতি বিক্রি করা হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১১০০ টাকায়। কোথাও কোথাও আবার ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা। অন্যদিকে অক্সিজেন মাস্কের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে মাস্কের চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে দিয়েছে যাতে করে তারা অতিরিক্ত লাভবান হয়।

মোহাম্মদ নাঈম নামের এক তরুণ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সাপ্তাহিক আমাদের বিডি ক্লিন কার্যক্রমের জন্য আমি প্রত্যেক সপ্তাহে ওয়ান টাইম ব্যবহার করা সার্জিক্যাল মাস্ক কিনে নিয়ে যাই। আজকেও নগরীর তিনপোল মোড়ে গোলাম রসুল মার্কেট একই জিনিস কিনতে। কিন্তু এসে দেখি একজন ক্রেতা ১ প্যাকেট মাস্ক কিনছেন ৯৮০ টাকা দিয়ে। আমি অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম। লোকটি যাওয়ার পর দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করলাম, কারণ কিরে ভাই আমি নিয়ে যাই ৭৫ টাকা করে। এখন দেখলাম ৯৮০ টাকা করে বিক্রি করলেন! এরপর দোকানদার উত্তর দিলো, ভাই মুখের মাস্ক এখন বাজারে নেই, এসব মাক্স নাকি করোনা ভাইরাসের কারণে চায়নাতে রপ্তানি করা হচ্ছে। চীনে নাকি মাস্কের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

মোহাম্মদ রুমেল নামের এক তরুণ মাস্কের দাম বাড়া নিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমরা হুজুগে জাতি। করোনা ভাইরাস হয়েছে চিনে, অথচ দাম বেড়ে গেছে বাংলাদেশে। হায়রে হুজুগে জাতি, ৭০-৮৫ টাকা মাস্কের প্যাকেট এখন ৯০০-১১০০ টাকা। পার করালি। কোথায় করোনা ভাইরাস চায়নায় আর এদেশে মাস্কের দাম বাড়ে। এ জাতির ব্যবসায়ীদের লোভ এখনও কমল না। নিজের চোখে দেখলাম ৯৮০ টাকা দিয়ে কিনতে।’

সোহেল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মাস্কের চাহিদা থাকায় হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেছে। যে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেই যাচ্ছে। আমার দোকানেও এখন মাস্ক নেই। তাই মাস্ক বিক্রি করছি না আপাতত।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!