চট্টগ্রামে ২ উপায়ে করোনার পরীক্ষা করানো যাবে

চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার পরীক্ষা হবে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। সীতাকুণ্ডের বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) ল্যাবে এই টেস্ট করা হবে। তবে যেনতেনভাবে নয়, এক্ষেত্রে মানতে হবে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া।

বিআইটিআইডি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ মানুষ দুই উপায়ে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার পরীক্ষা করাতে পারেন। প্রথমত করোনাসন্দেহের একজন রোগীকে কোন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ করে টেস্ট করাতে হবে। দ্বিতীয়ত ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেও করানো যাবে এই পরীক্ষা। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের মতামত ও পরামর্শ সঙ্গে থাকতে হবে। তবে পরীক্ষার জন্য যেভাবেই যোগাযোগ করা হোক না কেন, পরীক্ষার ফলাফল আসার আগ পর্যন্ত রোগীর অবস্থান অপরিবর্তিত রাখার বিষয়েই সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

নমুনা সংগ্রহের জন্য কিছু মানদণ্ড নির্ধারণ করেছেন বিআইটিআইডির বিশেষায়িত টিম। করোনা সন্দেহের কোনো রোগীর বিভিন্ন উপসর্গের সঙ্গে যদি নির্ধারিত মানদণ্ডগুলো মিলে যায়, কেবল তখনই তারা ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করবেন পরবর্তী পরীক্ষার জন্য। তবে এক্ষেত্রে রোগী যেখানে অবস্থান করবেন, সেখানেই থাকতে হবে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসলেই কেবল তাকে বিআইটিআইডির আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হবে।

একজন রোগী কিভাবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাবেন— এই প্রশ্নের জবাবে বিআইটিআইডির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মামুনুর রশীদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ব্লক রাখা হয়েছে। কোন পেশেন্ট যদি মনে করে তার করোনা সংক্রমণের সিনড্রোম আছে তাহলে তারা নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করবে। ওখানকার ডাক্তাররা যদি মনে করেন সাসপেক্ট ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করছেন তাহলে প্রথমে নিকটস্থ হাসপাতালের আইসোলেশন ব্লকে এডমিট করাবেন।’

‘এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর উপসর্গ নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করবেন। আমাদের একটা টিম আছে। সেই টিম আলোচনা করে যদি সিদ্ধান্তে আসে যে ক্রাইটেরিয়া ফিলআপ হচ্ছে তাহলে আমাদের একটা স্পেশাল অ্যাম্বুলেন্সে করে এক্সপার্টরা গিয়ে ওই পেশেন্টের নমুনা সংগ্রহ করে আনবেন’— যোগ করেন তিনি।

তবে এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে পেশেন্টের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে না উল্লেখ করে ডা. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘পেশেন্ট এক জায়গাতেই থাকবেন। আমরা নমুনা সংগ্রহ করে ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত তিনি অবস্থান পরিবর্তন করতে পারবেন না। যদি ফলাফল নেগেটিভ আসে তাহলে তাকে চিকিৎসা দিয়ে ওখান থেকেই ছেড়ে দেওয়া হবে। আর যদি পজেটিভ আসে তাহলে তাকে কনফার্ম ডায়াগনোসিস করতে হবে।’

হাসপাতালের মধ্যস্থতা ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে কেউ টেস্ট করাতে পারবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে বিআইটিআইডির পরিচালক ডা. আবুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘যেহেতু আমরা চাচ্ছি রোগীকে কোথাও ট্রান্সফার না করেই টেস্ট করতে, সেহেতু বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করা যাবে। আমরা দুদিন আগে দেওয়ানহাটের এক বাসা থেকে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছি। তবে এখানে অবশ্যই একজন ডাক্তারের কানেকশন থাকতে হবে। কারণ এখন তো সবাই টেস্ট করাতে চাইবে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!