চট্টগ্রামে ২৩৩ কোটির সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়ম, ৩ বছরে কাজ সামান্যই

চট্টগ্রাম নগরীতে ২৩৩ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণের কাজ শুরু করা মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নিয়ে উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। তিন বছর আগে শুরু হওয়া প্রকল্পটির কাজে এ পর্যন্ত অগ্রগতি খুবই নগণ্য। চলতি ডিসেম্বরে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন আবার প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রশ্ন উঠেছে, তিন বছরে যেখানে প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ১৪ শতাংশ, মাত্র এক বছর সময় বাড়িয়ে বাকি কাজ কিভাবে করা সম্ভব?

সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

জানা গেছে, ২৩২ কোটি ৫১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয়েছিল। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও বাস্তবায়ন কাজে অগ্রগতি বলতে তেমন কিছু নেই। এমন অবস্থায় ওই প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর ও গণপূর্ত অধিদফতর।

চট্টগ্রামে ২৩৩ কোটির সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়ম, ৩ বছরে কাজ সামান্যই 1

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দুই বছর ১১ মাসে প্রকল্পটির অগ্রগতি মাত্র ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা প্রকারান্তরে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার সক্ষমতার অভাবকে ইঙ্গিত করে। সে ক্ষেত্রে বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রস্তাবিত আরও এক বছরে প্রকল্পের অবশিষ্ট ৮৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কাজ কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করবে, সে বিষয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রয়োজন।

এদিকে জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (ডিপিপি) ব্যত্যয় ঘটিয়ে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে কমপ্লেক্সটি স্থাপনের পূর্ত ১০টি ও মালামাল সরবরাহের একটি প্যাকেজকে একীভূত করে মাত্র একটি প্যাকেজে সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে।

আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রকল্পটির পূর্ত ১০টি প্যাকেজ ও মালামাল সরবরাহের একটি প্যাকেজ একীভূত করে একটি দরপত্র আহ্বানের কারণ কী— এর জবাব আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে চেয়েছি। মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও আমরা যৌক্তিক ব্যাখ্যা চেয়েছি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!