চট্টগ্রামে ১ হাজার চিকিৎসক নার্সকে পিপিই দিল বিদ্যানন্দ
চট্টগ্রামে এক হাজার চিকিৎসক ও নার্সের মাঝে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) পৌঁছে দিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। অনলাইনে ঘোষণা দিয়ে এসব পিপিই বিতরণ করেছে এই সংস্থা।
এছাড়াও করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিদ্যানন্দের বিভিন্ন উদ্যোগ নজর কাড়ছে সবার। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিদ্যানন্দের নেওয়া এসব উদ্যোগের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্বাগত জানাচ্ছেন সর্বস্তরের লোকজন।
পিপিই বিতরণের এই কার্যক্রমকে ‘অনেক হতাশার মাঝেও একটু আশার আলো’ অভিহিত করে ফেসবুকে সানজিদা আলম সেজান নামে একজন লিখেছেন, ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ডাক্তারদের মাঝে পিপিই বিতরণের এই কর্মসূচি সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ডাক্তাররা যখন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তখন বিদ্যানন্দের পক্ষ থেকে এই উপহারটুকু পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’
চট্টগ্রামে বিদ্যানন্দের দায়িত্বশীলদের একজন জামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ১ হাজার পিপিই পাঠানো হয়েছে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এসব পিপিই সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে।’
এর বাইরে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নগরের গণপরিবহন, ট্রেনসহ বিভিন্ন এলাকায় কীটনাশক স্প্রে করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণও করছেন তারা।
জামাল আরও বলেন, ‘অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন বস্তিতে বিনামূল্যে খাবারের দোকান বসাবো। এসব দোকানের মাধমে এলাকার লোকজনের মাঝে বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হবে।’
বিদ্যানন্দের এসব কাজ করছেন তাদের বাছাই করা স্বেচ্ছাসেবকরা। এর বাইরে চট্টগ্রামে কাজ করা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য খাবার ও স্বাস্থ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান জামাল।
তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামে কাজ করা সংগঠনগুলোর কাছেও বিনামূল্যে বিতরণের জন্য খাবার ও স্বাস্থ্য সামগ্রী সরবরাহ করবো। এজন্য আগ্রহী সংগঠনগুলোকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আবেদনকারীদের ক্যাপাসিটি বিবেচনা করে আমরা সংগঠনগুলোর সিলেক্ট করবো।’
বিদ্যানন্দের এসব পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিভাবে কাজ করতে হবে সে বিষয়ে বিদ্যানন্দ খুব ভাল সব উদাহরণ তৈরি করছে। এখন পর্যন্ত পথ দেখাচ্ছে তারাই।
এআরটি/এসএ