চট্টগ্রামে ১২০৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিল করোনা

২৪ ঘণ্টায় ৭ মৃত্যু, ৩০৬ পজিটিভ

একদিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামে আবারও বেড়ে গেল করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা কেড়ে নিয়েছে আরও ৭ জনের প্রাণ। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৪ জন নগরের বাসিন্দা, বাকি ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার। একই সময়ে ৩০৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ১৬৬ এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪০ জন।

এ নিয়ে চট্টগ্রামের মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ৯৮ হাজার ২৬৮ জন। মোট শনাক্তের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরেরই ৭১ হাজার ৬৩৪ জন। বাকি ২৬ হাজার ৬৩৪ জন বিভিন্ন উপজেলার। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ১২০৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরে ৬৮০ এবং উপজেলায় ৫২৩ জন।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ১১ ল্যাব এবং কক্সবাজারে একটি ল্যাব মিলে ১ হাজার ৭৭৭ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় চট্টগ্রামে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে ৩০৬ জনের দেহে।

ল্যাবভিত্তিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৭ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ৪৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬২ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে এন্টিজেন টেস্টে ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আরটিএলে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে চট্টগ্রামের কোন নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

নগরীর বেসরকারি করোনা পরীক্ষাগারগুলোর মধ্যে ইমপেরায়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শেভরন ল্যাবরেটরিজে ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনকে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের দেহে করোনার জীবাণু মিলেছে। ইপিক হেলথ কেয়ারে ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া যায় হাটহাজারী ও বোয়ালখালীতে। দুই উপজেলাতেই ২৭ জন করে করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়। এছাড়া, রাঙ্গুনিয়ায় ২৪ জন, রাউজানে ১৮ জন, ফটিকছড়িতে ১২ জন, সীতাকুণ্ডে ৭ জন, চন্দনাইশ, আনোয়ারা ও মিরসরাইয়ে ৫ জন করে, লোহাগাড়ায় ৪ জন, পটিয়ায় ৩ জন এবং সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও সন্দ্বীপে ১ জন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!