জীবাণুনাশক পণ্যের দাম বাড়ছেই চট্টগ্রামের বাজারে

করোনা ভাইরাসে তিনজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রামে মাস্কের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। মাস্কের পর হেক্সিসলের চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। একই সাথে সরবরাহ কমে গেছে ডেটল, স্যাভলন, হ্যান্ডস্যানিটাইজারও। তবে যে কয়েকটি দোকানে আছে তারা বাড়তি দামেই বিক্রি করছে। করোনার খবরে চট্টগ্রামে হঠাৎ করেই বেড়ে গেলো সব জীবাণুনাশক পণ্যের দাম।

সোমবার (৯ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীল ওষুধপাড়া হাজারী লেনে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ ফার্মেসিতেই হেক্সিসলের সংকট রয়েছে। হেক্সিসল, স্যাভলন, হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও ডেটল সংকটের কারণে দোকানদারেরা এসব জিনিস বিক্রি করতে পারছেন না। ক্রেতারা এসে ফেরত যাচ্ছেন।

রোববার (৮ মার্চ) বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিন রোগীর খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার পর সব মানুষ আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সাবধানতা অবলম্বন করার জন্যই কেউ কেউ ফার্মেসিতে গিয়ে এসব প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে জমা করছেন। তাই ফার্মেসিগুলোতে যে পরিমাণ হেক্সিসল ছিলো তা এক ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায় বলে দোকানিরা জানিয়েছেন। ১০৫ টাকা দামের হেক্সিসল বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। যে যেভাবেই পেরেছে বিক্রি করেছে। ডেটল, স্যাভলন, হ্যান্ডস্যানিটাইজারও আগের দামের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে।

দোকানদাররা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক আগে থেকেই মাস্ক, স্যাভলন, হেক্সিসল, ডেটল, হ্যান্ডসেনিটাইজার— এসব জিনিসের চাহিদা বেশি ছিল। মাঝখানেও সংকট পড়েছে। তবে কিছু কিছু ছিল। কিন্তু রোববার রাতের মধ্যেই সব শেষ হয়ে গেছে। সকাল থেকেও লাইন পড়েছে কেনার জন্য। কিন্তু কী করবো! নেই বলে বিক্রি করতে পারছি না। তবে আমরা হেক্সিসল ১০৫ টাকা করেই বিক্রি করেছি। বাইরের ফার্মেসিগুলোতে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

জসিম নামের এক ক্রেতা এসেছেন হেক্সিসল কেনার জন্য। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘হাজারী লেনের প্রায় সব দোকানেই হেক্সিসল খুঁজে আসলাম। কিন্তু কোনো দোকানেই হেক্সিসল নেই। মুহূর্তেই বাজারে বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। কোথায় পাওয়া যাবে কে জানে। যেভাবেই হোক কিনতে হবে।’

রাজন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘খুঁজতে খুঁজতে একটা দোকানে হেক্সিসল পেলাম। মাস্ক তো আগে থেকে কিনেই রেখেছিলাম। তাও বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। এখন হেক্সিসলের দামও বাড়িয়ে ফেলেছে। বাইরের একটা ফার্মেসি থেকে ২০০ টাকা দিয়ে হেক্সিসল কিনতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হয়তো ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করেই কয়েকদিনের জন্য হেক্সিসল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। এখনো করোনাভাইরাস চট্টগ্রামে আসেনি। আসলে তখন ১ হাজার টাকা করে বিক্রি করবে আর কী। এরা ঝোপ বুঝে কোপ মারে। এখন যেটা ২০০ টাকা বিক্রি করছে। কয়েকদিন ধৈর্য্য ধরলে হয়তো ১ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবে। বাঙালির স্বভাব কখনো বদলাবে না।’

এনজে/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!