চট্টগ্রামে ব্রয়লার মুরগির বাজার হঠাৎ হয়ে উঠেছে বেসামাল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ১৪০ টাকায় গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া মুরগি শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৭০ টাকা।
এদিকে শীত পুরোপুরি না নামলেও শীতের সবজি উঁকি দিচ্ছে বাজারগুলোতে। কিন্তু দাম আকাশছোঁয়া।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম কিছুটা বেশি হলেও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে পালং শাক, লাল শাক, সরিষা শাকসহ বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, টমেটো, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি।
বহদ্দারহাট বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। গত সপ্তাহের চেয়ে প্রতি কেজি মুরগির দাম বেড়েছে ২০টাকা।
এছাড়া বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, প্রতিকেজি ফুলকপি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। শিমের দাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে।
বাজারে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে শাকের দাম কিছুটা কমেছে। কলমিশাক প্রতি আটি ১০ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, লাউ শাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকা ও পালংশাক ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এখন দেশি টমেটোও বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে দেশি টমেটোর দাম এখন চড়া। কিছুদিন পর টমেটোর দামও কমে যাবে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই শীতকালীন সবজির দাম কমবে।
এদিমে ১৪০ টাকায় গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৭০ টাকা। কোথাও কোথাও ১৬০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে ১৭০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। এছাড়া সোনালী মুরগি কেজিপ্রতি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি কেজিপ্রতিতে বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা।
গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া খাসির দাম কেজিপ্রতি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে।
এদিকে ডিমের দামও রয়েছে আগের সপ্তাহের মতোই। বেশিরভাগ খুচরা দোকানে ৩৮ টাকা হালি কিংবা প্রতিটি সাড়ে নয় টাকায় বিক্রি হচ্ছে ডিম। কিন্ত পাইকারি বাজারে যারা শুধু ডিমই বিক্রি করেন তারা রাখছেন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা ডজন।
আরএম/এমএফও