চট্টগ্রামে হঠাৎ অস্থির কাঁচাবাজার, মাংসের বাজারে স্বস্তি

চট্টগ্রাম নগরীতে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচাবাজারে সবজির দাম অন্তত ২৫ ভাগ বেড়েছে। এসব কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের লোকজন। ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা নিজেদের মতো করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতি ও বৃষ্টির কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে খানিকটা অস্থিতিশীল কাঁচাবাজার। রোববার (৫ জুলাই ) চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি আলু গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি দাম ছিল ৩৫ টাকা। বর্তমানে সেটা ৫ টাকা বাড়তিতে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ললিতা জাতের আলু প্রতিকেজি গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা বাড়তিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। টমেটো গত সপ্তাহের চেয়ে ৪০ টাকা বাড়তিতে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। গত সপ্তাহে চেয়ে ১০ টাকা বেড়ে শিম এখন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা। ১০ টাকা বেশিতে বরবটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, ধনিয়াপাতা কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেশিতে ১৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, গাজর কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেশিতে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, কাকরোল ৫ টাকা বেশিতে ৫০ টাকা দরে, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, বেগুনবিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা করে অপরিবর্তিত দামে। পটল, ঝিঙ্গে ও শসা আগের মতোই ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে মাংসের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। ফার্মের মুরগি গত সপ্তাহের চেয়ে ৫ টাকা কমে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগি ২০ টাকা কমে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগি আগের মতোই ৪৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। সেই তুলনায় গরুর মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে। হাঁড়ছাড়া গরুর মাংস ৩০ টাকা বাড়তিতে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা কমে হাড়যুক্ত মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা করে।

কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারের মূল্যতালিকায় দেখা গেছে, খুচরামূল্যে পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকা, রসুন ৭০ টাকা, আদা ১৩০ টাকা, মসুর ডাল ১২৪ টাকা, ছোলার ডাল ৭৮ টাকা, মটর ডাল ৪০ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ টাকা, মটর ৪৫ টাকা, চিড়া ৫৪ টাকা, চিনি ৬০ টাকা, মিনিকেট চাউল ৫২ টাকা, জিরাশাইল চাল ৫৮ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৩ টাকা করে।

কাঁচাবাজারে হঠাৎ জিনিসপত্রের বাড়তি দাম দেখে কাজীর দেউরি বাজারে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হাসানুজ্জামান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বেশি ছিল এখন কিছুটা স্বাভাবিক। তাও কিছু কিছু দোকানদার তালিকার চেয়ে বেশি দাম নিচ্ছে। কাঁচাবাজারে শাকসবজির দাম দিন দিন বাড়ছে। গতকালও তালিকার বাইরে বেশি দাম নেওয়ায় দোকানগুলোকে ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করেছেন। কিন্তু আজকে যথারীতি বাজার অস্থিতিশীল।

তবে কাজীর দেউড়ি বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে গাড়ি চলাচল কম। সেই সাথে টানা বৃষ্টির ফলে শাকসবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!